যেভাবে আপনি এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। (6/6)

প্রাত্যহিক ব্যায়াম 

নিয়মিত শরীর কসরত হতে পারে অন্যতম সমাধান। আমাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে ব্রেনের রিসেপ্টর এবং ওয়ার্কিং সেলগুলো মূল ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে সারা শরীরে তথা মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে, যা আমাদের প্রাত্যহিক কর্মব্যস্ত জীবনের পারফরম্যান্স উচু করার পাশাপাশি আমাদেরকে টেনশন মুক্ত রাখে। স্বাভাবিক ঘুমের জন্য যা অত্যন্ত জরুরি। সপ্তাহে গড়ে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি যারা ব্যায়াম করেনা তাদের থেকে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাবেন্না! 

খেয়ে সাথেসাথে ঘুমোতে গেলে আপনার হজম প্রক্রিয়া কাজ শুরু করার সাথে সাথে আপনার ঘুমের বারোটা বেজে যাবে। আর যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য দেরি করে খাওয়া একদম অনুচিত। ঘুমের অন্তত ২ ঘন্টা আগে সমস্ত খাওয়াদাওয়া শেষ করা উচিৎ। আর ঘুমানোর আগে পানি প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণ করুন।

টেনশন মুক্ত থাকুন 

অতিরিক্ত টেনশন করলে আপনি প্রতি রাতেই ঘুমানোর সময় সাফার করবেন। এই টেনশন এবং এনজাইটি আমাদের মস্তিষ্কের উপর এতটাই প্রভাব ফেলে, যে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা এবং এর ফলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে।

মেলাটনিন এর কার্যকারিতা বাড়ান 

মেলাটনিন একটি হরমোন, যা মস্তিষ্কের তৃতীয় প্রকোষ্ঠে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়। আমাদের ঘুম চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এই মেলাটোনিন। মেলাটনিন এর কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ট্রিফটোফ্যান নামের একধরণের এমাইনো এসিড(প্রোটিন গঠনের গাঠনি একক) এর প্রয়োজন হয়৷ কাজুবাদাম,খেজুর, টার্কি মুরগি, ব্রকলি ইত্যাদি ট্রিফটোফ্যানের ভালো উৎস। তাই আপনি ইনসোমনিয়ায় আক্রান্ত হলে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে (5/6)

সততার পুরস্কার (1/4)