কোরবানির ঈদের আগের মাস জুলাইয়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলার প্রেরণ করেছে প্রবাসীরা (রেমিট্যান্স)। বাংলাদেশি এই টাকায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। সহজেই বলা যায় কোন একক মাসে এত বেশি প্রবাসী আয় আগে আসেনি। এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ঠিক আগের মাসেই, ১৮৩ কোটি ডলার (প্রায় ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা)। সেই হিসাবে এক মাসেই প্রবাসী আয় বেশি এসেছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা।
করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও প্রবাসী আয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাঝে। এত আয় আসায় ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকা কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। দীর্ঘদিন ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় প্রতি ডলারের দাম আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এখন কমে হয়েছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা।
সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা বলছেন, যা আয় আসছে, তা সাময়িক। এতে উচ্ছ্বাসের কিছু নেই। করোনার কারণে অনেক প্রবাসীকে দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে। তারা সঞ্চয় ভেঙে টাকা দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন। বিদেশে যা সম্পদ করেছেন, সবকিছু বিক্রি করে দেশে ফেরত আসছেন। দেশ ফেরত এসব মানুষকে কাজে লাগানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings