মুসলমানরা একই বছরে দুমাস রোজা রাখবেন। যদিও রমজান ও ঈদুল ফিতর কখন অনুষ্ঠিত হবে, তা পূর্বাভাসের বিষয়। সেই পূর্বাভাসই সত্যিকারের রূপ নিতে যাচ্ছে ২০৩০ সালে। তখন একই বছর দুটি রমজান অনুষ্ঠিত হবে।
চান্দ্র পঞ্জিকা ও চাঁদের চক্র বলে দেয় কখন রমজান আসছে। চান্দ্র মাসের একটি অংশ প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ দিন সামনে অগ্রসর হয়। যদি এই নিয়ম মেনে চলা হয়, তাহলে চলতি দশকের শেষ বছর মুসলমানরা দুটি রমজান পাচ্ছেন। গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকায়ও এই হিসাব মেনে চলা হয়।
উচ্চ প্রযুক্তির দুরবিন আসার আগে নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করত রমজান। তখন কেবল খোলা চোখেই চাঁদ দেখা হত।
দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আহমেদ আল হারিরি বলেন, এক বছরে দুই রজমান পালন প্রতিবছর ১১ দিন সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না।
তিনি জানান, সৌর পঞ্জিকা এবং চান্দ্র পঞ্জিকা একটি আরেকটি থেকে ভিন্নভাবে পরিচালিত হয়। তারা পরস্পর আলাদা। সৌর পঞ্জিকা সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। চান্দ্র পঞ্জিকা সবসময় এগারো দিন কম থাকে। কাজেই দুটি ভিন্ন পঞ্জিকা ব্যবহারের প্রাকৃতিক ফল হবে একই বছরে দুটি রমজান পালন।
এই জ্যোতির্বিদ আরও জানান, পঞ্জিকা মানুষেরই উদ্ভাবন, যাতে এটিকে আমরা মাপকাঠি হিসেবে কাজে লাগাতে এবং সময় গণনা করতে পারি। একই বছরে দুটি রমজান পালনকে প্রাকৃতিক বিষয় হিসেবে দেখা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০৩০ সালে জানুয়ারির শুরুর দিকে রমজান শুরু হলে ঈদুল ফিতর হবে ফেব্রুয়ারিতে। পরবর্তীতে বছরের শেষে ডিসেম্বরে আরেকটি রমজান আসবে। কাজেই বর্তমান নিয়ম যদি ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল থাকে, তবে দুই ঈদের ছুটির জন্যও সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
GIPHY App Key not set. Please check settings