এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। প্রধান সূচক বাড়লেও ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি ব্যাংক খাতে।
বাংলাদেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকখাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ দু’টিই কমেছে।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের দাম কমেছে গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ। দাম কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ আট শতাংশ কমেছে। এই খাতে শেয়ারের দাম কমায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারী এতদিন ব্যাংকখাতকে নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করলেও গত কয়েক সপ্তাহের পতনে এই খাতের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমেছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি পুরো সপ্তাহজুড়ে এসআলম সংশ্লিষ্ট বেশিভাগ শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ব্যাংকখাতের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেরও বেহাল দশা। এই সপ্তাহে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে ২৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। খাতভিত্তিক লেনদেনে কাগজ, আবাসন, ওষুধ, সিমেন্ট এবং প্রকৌশল শিল্প নিজেদের ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে।
সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে বাজারে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৪১২ কোটি টাকা। ডলারের হিসাবে এক সপ্তাহে বাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৪ মিলিয়ন ডলার।
সাপ্তাহিক লেনদেনে বেশিভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় আছে ২০১ কোম্পানি। এছাড়া দাম কমেছে ১৫০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির। সপ্তাহ ব্যবধানে মার্কেট রিটার্ন এসেছে দশমিক ৩৫ শতাংশ।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings