বাংলা মানেই বাঙ্গালী, আর বাঙ্গালী মানেই বাংলা। পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ ই দেখলে বোঝা যায় তারা কোন জাতি। যেমন সৌদি, শিক, ব্রিটিশ, ইত্যাদি বহু জাতি আছে যাদের দেখেলে বোঝা যায় তারা কোন জাতি।তেমনি বাঙ্গালী এই জাতি শুধু মাত্র ভাষায় জন্য প্রান দিয়েছে, যা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। আর বাঙালিদের চেনা খুব সহজ। আজকের লিখার বিষয় হচ্ছে বাঙালিদের চেনার উপায়।
পোশাক। কাঁধে গামছা, পরনে লুঙ্গি যদি যদি থাকে তবে ধরে ই নেবেন তিনি একজন নিখুত বাঙালি। এছাড়া, এছাড়া শাড়ি বাঙালি মেয়েদের এক মাত্র পছন্দের পোশাক।
খাবার। মাছে ভাতে বাঙালি, যদি দেখতে পান কোন মানুষ আয়েশ করে মাছ, ভাত, ডাল, ভর্তা খাচ্ছেন, আপনি ধরে নেবেন তিনি এক্ষণ নির্ভেজাল বাঙালি।
দামাদামিঃ যে কোন কিছু কেনার আগে যদি খুব বেশি দামাদামি শুরু করে দেয়, তাহলে বুজতে হবে তিনি একজন বাঙালি। বাঙালি দামাদামি করে জিনিষ কেনে না এটা সবার ই জানা।
অল্পতেই উত্তেজিত। অতি সামান্য ঘটনা কেন্দ্র করে যদি দেখেন তুলকালাম কান্ড বাধিয়ে ফেলেছে, তাহলে বুঝতে হবে এটা বাঙালির ই কাজ।
থুতু ফেলা। পায়ে হেটে যেতে যেতে হুট করে একগাদা থুতু যদি রাস্থায় ফেলে তাহলে আপনি নিশ্চিত ধরে নেবেন তিনি একজন বাঙালি।
যেখানে সেখানে ময়লা করা। আপনি আনন্দ নিয়ে দিব্বি চিপস খেয়ে যাচ্ছেন, খাওয়া শেষ হুট করে ফেলে দিলেন প্যাকেটটা। না নির্দিষ্ট স্থানে নয়। মানুষ চলাচলের রাস্তায়। এছাড়া ক্যান, পানির বোতল, এইগুলো ত আছেই। এমন কাজ করতে পারে শুধু বাঙালি।
আবেগপ্রবণঃ আর যাই হোক বাঙালি জাতি খুব আবগপ্রবন হয়। অতি সামান্য বিষয় যদি কেউ ফেল ফেল করে চোখের পানি ফেলে বুঝতে হবে তিনি একজন খাতি বাঙালি।
বৃষ্টিপ্রিয়
বৃষ্টির সময় ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় বাঙালিকে। কিন্তু বৃষ্টি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ভোজনরসিক
বাঙালি মানুষ ভোজনরসিক হবে না এ যেন হতেই পারে না। টক ঝাল মিষ্টি কিংবা করল্লার তেতো সবেতেই তৃপ্তি খুঁজে পায় বাঙালি
মাছ না হলে চলেই না
মাছ বাঙালির আরেকটি পছন্দের জিনিস। অনেকে মজা করে এমনটাও বলেন যে, মঙ্গল গ্রহে গেলেও বাঙালি মাছ খুঁজে বেড়াবে।
সাদা- কালোতে রুচি নেই
অনেক দেশেই সাদা কালো রংয়ের পোশাক পরে বিয়ে করার চল আছে। কিন্তু বাঙালি এক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো। জমকালো রং ছাড়া উৎসব অনুষ্ঠান একেবারেই রোচে না বাঙালির।
পান, পান খাওয়াতে ওস্তাদ বাঙালি। যদি দেখেন কেউ পান খেতে খেতে মুখ লাল করে ফেলেছে তবে ধরে নেবেন তিনি একজন বাঙালি ।
চাঃ যদি দিনে ৭, ৮ বার চা পান করেন তবে আপনি একজন বাঙালি।
এক হাতে চা আর অন্য হাতে সিগারেট নিয়ে আড্ডায় মজে থাকা বাঙালিদের খুব পরিচিত চিত্র। আড্ডা ছাড়া বাঙালি বাঁচতে পারে না। আড্ডা বাঙালির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। সব বয়সের বাঙালিরাই আড্ডার সঙ্গে অভ্যস্ত। বয়সের তারতম্যের ক্ষেত্রে আড্ডার বিষয়েরও পরিবর্তন ঘটে থাকে। কিন্তু, আড্ডা চলতেই থাকে। সাহিত্য, সিনেমা, রাজনীতি, খেলাধুলো সব কিছুই হতে পারে আড্ডার বিষয়।
প্রতিবাদে মুখর:
যে কোনও বিষয়ের প্রতিবাদ জানাতে বাঙালি সিদ্ধহস্ত। বন্ধ-অবরোধ হচ্ছে সাধারণ বাঙালির প্রতিবাদের ভাষা। বন্ধ-অবরোধ করে পরিবহণ বা অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ করলেও মুখে মুখে চলতে থাকে স্লোগান। হাজার বনধেও কখনও বন্ধ হয় না বাঙালির মুখ।
জ্ঞানের ভাণ্ডার:
বাঙালী প্রবীণ হলেই সে পরিপূর্ণ জ্ঞানের ভাণ্ডারে পরিণত হয়ে যায়। একইসঙ্গে বয়সে ছোটদের জ্ঞান দেওয়ার অধিকার জন্মে যায়। জ্ঞান না থাকলেও সে জ্ঞান দেবে। কারণ, সে এখন প্রবীণ। নবীনদের থেকে অনেক বেশি সূর্যোদয় দেখেছে। অনেক বেশি বসন্ত কাটিয়ে এসেছে।
যে কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক চালাতে বাঙালি বেশ ওস্তাদ। আগে এই বিষয়টি চায়ের আড্ডার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন কলেবরে বৃদ্ধি পেয়েছে। টেলিভিশন সংবাদমাধ্যমের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিতর্ক। বিভিন্ন সংবাদপত্র বা পত্রিকাগুলিও এখন বিতর্কসভার আয়োজন করে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings