২০২০ সাল আসতে না আসতেই ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান- আমেরিকা। এই ছায়াযুদ্ধ কখন চূড়ান্ত যুদ্ধে পরিণত হয় তা নিয়ে শঙ্কিত গোটা বিশ্ব। কিন্তু বিশ্লেষকদের একটা অংশ বলছেন, আমেরিকা আর যা-ই করুক না কেন সরাসরি কখনো ইরানের ওপর হামলা চালাবে না। সামরিক শক্তিতে আমেরিকা বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আর ইরান আছে ১৪ তম স্থানে। কিন্তু তবুও ইরানের কাছে এমন কিছু অস্ত্র এবং আধুনিক প্রযুক্তি আছে যার কারণে দেশটিকে ভয় পায় আমেরিকা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আমেরিকান ড্রোন ভূপাতিত করা দেশ হলো ইরান। এ থেকেই বোঝা যায় যে সমরশক্তিতে ইরান কতটা এগিয়ে। এখানে এমন ১০টি বিষয় তুলে ধরা হলো যেগুলোর কারণে দেশটিকে ভয় পায় আমেরিকা।
#1
#2 সেনাবাহিনী।
ইরানের বর্তমান সক্রিয় সেনাসদস্য ৫ লাখ ২৩ হাজার। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার জন। দেশটির ট্যাংকের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৪টি। সাঁজোয়াযানের (আর্মরড ফাইটিং ভেহিকল) সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৫টি। সেনাসদস্যের ব্যবহারের জন্য কামান (টোয়েড আর্টিলারি) রয়েছে ২ হাজার ১২৮টি। পাশাপাশি ৫৭০টি সংক্রিয় কামান (সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি) ও ১ হাজার ৯০০টি রকেটচালিত কামান (রকেট আর্টিলারি) রয়েছে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#3 বিমানবাহিনী।
ইরানের বিমানবাহিনীর মোট আকাশযানের সংখ্যা ৫০৯টি। এর মধ্যে রয়েছে-ফাইটার বিমান ১৪২টি, অ্যাটাক বিমান ১৬৫টি, হেলিকপ্টার ১২৬টি ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১২টি। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের জন্য ১০৪টি ও পরিবহনের জন্য ৯৮টি উড়োজাহাজ রয়েছে বাহিনীটির। ইরানের হাতে এখন পর্যন্ত স্বীকৃত কোনো স্টেলথ ফাইটার বিমান নেই।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#4 খলিজ ফার্স মিসাইল।
#5 শাহাব মিসাইল।
#6 ফাতেহ-১।
#7 কদর-১১০।
#8 শাহাব-৪।
#9 নৌবাহিনী
ইরানের নৌবাহিনীতে এখন পর্যন্ত যোগ হয়নি কোনো এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার। বাহিনীটিতে ফ্রিগেট রয়েছে ছয়টি, করভেট রয়েছে তিনটি এবং সাবমেরিন রয়েছে ৩৪টি। নেই কোনো ডেস্ট্রয়ার। তবে ইরানের ৮৮টি পেট্রোলবোট ও তিনটি মাইন ওয়্যাফেয়ার রয়েছে।
এছাড়া আরো আছে
শাহাব-৫
শাহাব সিরিজের মধ্যে শাহাব-৫ ক্ষেপণাস্ত্রটির ব্যাপারে ইসরাইলি মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, ইরানের কাছে থাকা মিসাইলগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী।
রাডার ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তি
ইরান প্রমাণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাডার ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তিকে অকার্যকর করা সম্ভব। এ কারণে যুদ্ধ শুরু হলে এর ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
বলা যায় ইরান দ্রুতগতিতে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী চালিয়ে নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে উঠবে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings