আমাদের এই সমাজে অনেক ধরনের কুসংস্কার প্রচলন আছে, যেগুলো আমাদের ধীরে ধীরে শিরক এবং কুফুরিতে দিয়ে অজান্তেই নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত ঈমান-আমল বিনষ্টকারী কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। আপনি যেটা মানছেন মিলিয়ে দেখুন এই তালিকায়।
১. বাবা মায়ের রা তাদের সন্তানের পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে বলে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে। ডিমে আছে প্রোটিন,
২. নতুন বউকে কোলে করে ঘরে আনতে হবে, আর কোলে নিবেন দুলা ভাই। এত মানুষ থাকেতে দুলাভাই কেন? কলে তুলে নিতে ই বা হবে কেন।
৩. দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নাই। কেন দোকানের প্রথম কাস্টমার গেলে কি আর কাস্টমার আসবে না? কতটা হাস্যকর।
৪. নতুন বউকে শ্বশুর বাড়ীতে নরম স্থানে বসতে দিলে বউয়ের মেজাজ নরম থাকে।
৫. বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ ‘সদকা’ করতে হয়।
৬. ওষুধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বললে রোগ বেড়ে যায়।
৭. জোড়া কলা খেলে জমজ সন্তান জন্ম নেয়।
৮. রাতে নখ, চুল, দাঁড়ি-গোফ ইত্যাদি কাটতে নেই।
৯. প্রথম সন্তান মারা গেলে পরের সন্তানের কান ফুটো করে দিতে হয়, তাতে সে দীর্ঘ হায়াত পায়।
১০. ভাই-বোন মিলে মুরগি জবাই করা যায় না।
১১. ঘরের ময়লা পানি রাতে ঘরের বাইরে ফেলতে হয় না, তাতে সংসারে অমঙ্গল হয়।
১২. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে ডাক দিলে তার যাত্রা অশুভ হয়।
১৩. ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হয়।
১৪. কোরআন শরীফ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল ‘সদকা’ করতে হয়, না হলে মাথার চুল উঠে যায়।
১৫. ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে তা ইঁদুরের গর্তে ফেলতে হয়, না হলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়।
১৬. মুরগির মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যুর সময় কাছে থাকার সুযোগ হয় না।
১৭. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ; তাতে যাত্রা ভঙ্গ হয় বা যাত্রা অশুভ হয়।
১৮. ঘরের প্রবেশকৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা নিষেধ। তাহলে জ্বরে আক্রান্ত হতে হয়।
১৯. রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২০. রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া ও ফল তোলা নিষেধ।
২১. ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।
২২. ঘরের চৌকাঠে বসা, দারিদ্রতার লক্ষণ।
২৩. মহিলাদের বিশেষ দিনে সবুজ কাপড়ের কিছু একটা পড়তে হয় এবং তাদের হাতের কিছু খাওয়া যায় না।
২৪. বিধবা নারীকে অবশ্য অবশ্যই সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
২৫. ভাঙা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না, তাতে অমঙ্গল হয়, চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়।
২৬. ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসে, আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসে।
২৭. নতুন কাপড় পরিধান করার আগে তা আগুনে ছ্যাঁকা দিতে হয়।
২৮. নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাতে নাই।
২৯. ভাগিনাকে মারলে মৃত্যুর সময় মামার হাত কাঁপে।
৩০. আশ্বিন মাসে কোনো নারী বিধবা হলে তার আর কোনো দিন বিয়ে হয় না।
৩১. সোমবারের দিন কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নিষেধ।
৩২. রাতের কাউকে সুঁই-সূতা দিতে নেই।
৩৩. গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে তা সেলাই করে ব্যবহার করতে মানা।
৩৪. খালি ঘরে সন্ধ্যায় বাতি দিতে হয়, না হলে বিপদ অনিবার্য।
৩৫. নবী করিম (সা.)-এর নাম শুনলে হাতে চুম্বন খাওয়া, তদ্রুপ মক্কা-মদিনার ছবি দেখলে চুমো খাওয়া।
৩৬. গর্ভবতী মহিলার জন্য কোনো কিছু কাটা-কাটি কিংবা জবাই করা নিষিদ্ধ, তাতে বাচ্চা ঠোঁট কাটা জন্ম নেয়।
৩৭. পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়।
৩৮. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সামনে দিয়ে খালি কলস নিয়ে কেউ গেলে বা খালি কলস পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।
৩৯. ছোট বাচ্চাদের শরীরে লোহা জাতীয় কিছু বেঁধে দিতে হয়, তাতে সে দুষ্টু জ্বীন-শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
৪০. রুমাল, ছাতা, হাতঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার দিতে হয় না।
৪১. হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে মনে করা হয়।
৪২. হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে বলে মনে করা।
৪৩. নতুন বউ কোনো ভালো কাজ করলে তা শুভ লক্ষণ বলে মনে করা।
৪৪. ইষ্টি কুটুম পাখি ডাকলে বলা হয় আত্মীয় আসবে।
৪৫. কাঁচামরিচ হাতে দিতে নেই।
৪৬. তিন রাস্তার মোড়ে বসতে মানা, তাতে বংশ উজাড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪৭. খাওয়ার সময় ঢেঁকুর আসলে অথবা খাবার আটকে গেলে কেউ তাকে স্মরণ করছে বা গালি দিচ্ছে মনে করা।
৪৮. কাকের ডাক বিপদের পূর্বাভাস মনে করা।
৪৯. শকূন ডাকলে বা দেখলে কেউ মারা যাবে, এটা মনে করা।
৫০. অনুরূপভাবে পেঁচার ডাককেও বিপদের কারণ মনে করা।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings