ধরুন “এই মোটা, এদিকে আয়” আপনাকে আপনার বন্ধুমহল থেকে শুরু করে পরিবার আত্মীয়স্বজন সবাই এভাবেই সম্বোধন করে থাকে। বাসে, রিকশায় যেখানেই উঠেন না কেন শরীরের অতিরিক্ত মেদের কারণে সবাই আপনার দিকে বাকা দৃষ্টিতে তাকায়। আপনি দিন দিন এরকম অসহ্যকর পরিস্থিতির সাথে পেরে উঠতে না পেরে শেষমেশ ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন৷ কিন্ত বিপত্তি বাধলো আপনার পেট। আপনি চাচ্ছেন না খেয়ে ওজন কমাতে কিন্ত ক্ষিদায় আপনার অবস্থা খুবই সঙ্গীন এবং এহেন পরিস্থিতিতে আপনি উপায় খুজছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনার এই মেদ কমানোর কিছু কার্যকরী খাবার নিয়ে কথা বলবো,যা পরিমিত মাত্রায় খেলে আপনার অতিরিক্ত ক্ষুদার ভাব চলে যাবে।
#1
#2 ডিম
অনেকের মনেই একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে ডিম খেলে আমাদের ওজন বেড়ে যায়। এই ধারণার আদৌ কোনো সাইন্টিফিক ভিত্তি নেই। ডিম এমন একটি খাবার যাতে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পুষ্টি উপাদানের কিছু না কিছু বিদ্যমান থাকে। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, ডিমের কুসুমে তো অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকে। তাহলে তা কিভাবে উপকারী? সম্প্রতি গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, রক্তের কোলেস্টেরল কে প্রভাবিতকরবেনা ডিমের কুসুম। একটি মাঝারি সাইজের ডিমে ২১২ মিলিগ্রামকোলেস্টেরল থাকে এবং মোট ক্যালরির ৬২% এসে থাকে এই কোলেস্টেরল থেকে! এছাড়া ডিমে বিদ্যমান ভিটামিন, মিনারেলস এবং এন্টি অক্সিডেন্ট আপনার ক্ষুদা কমানোর পাশাপাশি চোখ, হায়ালিনতন্ত গঠনে ভালো কাজ করবে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#3 মাছ
মাছের তেল ক্ষতি করেনা এটা আমরা সবাই জানি। কিন্ত এই মাছ কিভাবে আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে? আসলে মাছ, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছগুলোর মধ্যে ওমেগা-৩ নামে একটি ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফ্যাটও আমাদের কোলেস্টেরলকেপ্রভাবিতকরেনা৷ এছাড়া ভিটামিন ডি, উচ্চমানের প্রোটিন এবং বিভিন্ন এন্টিওক্সিডেন্ট আপনার ক্ষুদা দূর করার পাশাপাশি আপনার ওজনেও প্রভাব ফেলবেনা৷ আমাদের মিঠা পানির মাছেও যথেষ্ট পুষ্টিগুণ বিদ্যমান তবে সামুদ্রিক মাছের স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান মিঠাপানির মাছ থেকে বেশি। তাই প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে হলেও সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#4 এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
ভাজাপোড়া এবং ডিপফ্রাই এর প্রচলন টা আমাদের দেশেই বেশি। বেশিরভাগ উন্নত দেশের লোকেরা খাবার সেদ্ধ করে খায়। এতে করে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই অক্ষুণ্ণ থাকে। আর যদি একান্তই ভাজাপোড়া করতে হয় সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের পরিবর্তে তারা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করে। ভিটামিন-E এবং ভিটমিন-K আছে এই তেলে। তাছাড়া প্রচুর শক্তিশালী এন্টিওক্সিডেন্টওরয়েছে এতে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#5 বাদাম
বাদাম আরেকটি ফ্যাটি ফুড যার রয়েছেএকশোরওবেশিস্বাস্থ্যগুণ। বাদাম খেলে অপকারীকোলেস্টেরল কমে যায়। উল্লেখ্য যাদের হৃদরোগ আছে তাদের LDL বা অপকারীকোলেস্টেরলবেশি থাকে। পলিফেনলের লেভেল বৃদ্ধি করে ক্যাশোনাট(হিজলি বাদাম) এবং কাজুবাদাম যা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন বাদাম খেলে আপনার কোমরের সাইজ কমবে,প্যান্টের সাইজ নিয়েও তখন আর ঝামেলা থাকবেনা। এটাও এমন একটি খাবার যা খেলে আপনার ক্ষিদা কম লাগবে!
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#6 টকদই
#7 ভাত নাকি রুটি?
ভাত রুটি হলো আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশিমাত্রায় দায়ী! হ্যা ঠিকই শুনেছেন। মাছ, মুরগির মাংস, বেশি পরিমানে সবুজ শাকসবজি এগুলো ক্ষুদা কমানোর জন্য খাবেন। ভাত, রুটি তথা চাল এবং গমের তৈরি যেকোনো খাবার পরিমাণে কম খাবেন। এছাড়া সমস্ত ধরণেরফাস্টফুড খাবার অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
মনে রাখবেন, যত স্বাদযুক্ত খাবার, ততই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
পরে কোনো একদিন কিটোডায়েট সহ নির্দিষ্ট কিছু রেসিপি নিয়ে হাজির হবো আপনাদের জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সবাই৷
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings