in

ব্রিটিশ এমপিদের রিপোর্টে অন্তর্বর্তী সরকারের অসন্তোষ

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ সংসদীয় গ্রুপের প্রতিবেদন নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সরকারের অসন্তুষ্টির কথা তুলে ধরেন। এদিকে যেকোনো সরকারেরই মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের বাংলাদেশ সম্পর্কিত মন্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সঠিক নয় এবং আমরা হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেছি যেন সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়।’ তিনি যুক্তরাজ্যের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সংখ্যালঘুবিষয়ক বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করেন।

বিশেষ করে, ৫ আগস্টের পর অতিরিক্ত মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘জুলাই মাসে গণহত্যা এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ কিছু বলেনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

 বাংলাদেশের পরিস্থিতি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক বলেন, ব্রিটিশ এমপি ব্যারি গার্ডিনার ও প্রীতি প্যাটেল বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে দুই হাজারেরও বেশি সহিংস ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা, সুরক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের জরুরি আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নীতিগতভাবে ওই উদ্বেগ নিরসনের কোনো পরিকল্পনা আছে?

জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মূখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘প্রত্যেক সরকার, যাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে তাদের সঙ্গে আমরা ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছি। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হলো—মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে হবে। মৌলিক মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে হবে।’

বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। ধারপাকড়ের ঘটনা বা ধরপাকড়ের ঘটনা না হলেও সরকারগুলোতে আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে হবে।

এর অংশ হিসেবে মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা জোর দেওয়া অব্যাহত রাখব।’

এদিকে চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে বাংলাদেশে ইসকনের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রস্তাবিত পরিচালক তুলসি গাব্বার্ডও ইসকনের সদস্য। চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার, কারাগারে পাঠানো এবং তার পক্ষে কোনো আইনজীবী গত মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত না থাকার কথা উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবে?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এই মামলা নিয়ে আমার কাছে বিশদ তথ্য নেই। তবে আবারও বলছি, আমরা জোর দিয়ে বলে যাচ্ছি যে যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরও যথাযথ প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দেওয়া দরকার। তাদের সঙ্গে মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে আচরণ করা দরকার।’

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের!

তালিকায় হাসিনাপুষ্ট দশ প্রতিষ্ঠান অন্তরায় শুধু আইনের ভুল প্রয়োগ