১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসরঘর সাজিয়ে প্রতিরাতে একজন ছাত্রীকে ধর্ষন করা হতো, এভাবে একশত ধর্ষন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছিলো ক্ষমতাসীন দলের সোনার ছেলে “জসিমউদদীন মানিক” এরও একটা বিচার হয়েছিলো, তবে ফাঁসি হয় নি।. দিবালোকে রামদা দিয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে খাদিজা কে কুপিয়ে তার মাথা কয়েকভাগ করে সিলেটের বদরুল,খাজিদার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে বদরুলেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে খুব বেশি হয় নি।.
২০১৮ সালে বরিশালের বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকেএকসাথে ধর্ষন করে মাথা নেড়ি করে দেয় প্রভাবশালী তুফান, তুফানেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে ফাঁসিহয় নি।. সংরক্ষিত এলাকা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে তনুকে ধর্ষন করার পর হত্যা করা হয়, কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করেই জানে, কিন্তু তনুর ধর্ষনকারী কেউ গ্রেফতার হয় নি।. ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দিনের বেলা যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করার পর প্রহার করা হয়, ১৭ কোটি মানুষ এর সাক্ষী,ধর্ষক রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও,ফাঁসি কিন্তু হয় নি।.
কিছুদিন আগে ঢাকার এক আবাসিক এলাকায়৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করেহত্যা করা হয়, ধর্ষক আটক, তবে তারও কিন্তু ফাঁসি হবে না।গত কয়েকবছর আগে দেখলাম ৩ বছরের শিশুরযৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়,সেই ধর্ষকও গ্রেফতার হয়েছে, তবে ফাঁসি কিন্তু হয় নি।. এভাবে আরো কতো ধর্ষণ হচ্ছে মা বোনেরা তার হিসাব রাখে কে? ধর্ষকরা
জেলে যায় ঠিকই,কিন্তু ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আবার বেরিয়ে আসে।. আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই সবাই, কিন্তু দেশে কি সেই আইন আছে?ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড মাত্র তিন চারটা দিয়ে দেখুন, ধর্ষনতো দূরের কথা, কোনো মায়ের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পাবে না কোন কুলাঙ্গার।{ধর্ষনের সাজা}আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষনের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ।
রাশিয়া: ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড। চীন: কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদন্ড । পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদন্ড । মধ্যপ্রাচ্য আরব দুনিয়া: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে মৃত্যু, ফাঁসি, হাত পা কাটা, যৌনাঙ্গ কেটে অতি দ্রুততার সাথে মৃত্যুদন্ড দেওয়া। সৌদি আরব: শুক্রবার জুম্মা শেষে জনসম্মক্ষে শিরচ্ছেদ! দক্ষিন আফ্রিকা: ২০ বছরের কারাদন্ড। মঙ্গোলিয়া: ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়ে প্রতিশোধ পুরণ । নেদারল্যান্ড: ভিন্ন ভিন্ন সাজা ।আফগানিস্তান: ৪ দিনের ভিতর গুলি করে হত্যা । মালয়শিয়া: মৃত্যুদন্ড।
বাংলাদেশে ঃ- প্রতিবাদ, ধর্ন, তদন্ত, কয়েকসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন, সমঝোতার চেষ্টা, ঘুষ দেওয়া, প্রভাবশালীদের লোক, ধমক-চমক, মেয়েটির চরিত্র নিয়ে গবেষণা, বোরকা পরে ছিলো কি না? সংবাদমাধ্যমে আলোচনার আসর, রাজনীতি করন, জাতি নির্ধারণ, জামিন-ফের ধর্ষন, মেয়েটির আত্মহত্যাহুম এটাই আমাদের বাংলাদেশ।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings