২০২০ সালটা শুরু হয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজিয়ে। ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানীকে হত্যা করেছে আমেরিকা, রক্তের বদলে রক্ত চাই ইরান। কী হবে, যদি সত্যিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়? ইরানকে কী মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে আমেরিকা? উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন কী করবেন তখন? পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে তিনি কি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লাগবেন না? আর রাশিয়া ই কি আঙুল চুষবে? ভারত পাকিস্তানেরও তো পারমানবিক অস্ত্র আছে, তারা কি চুপ করে থাকবে? চলুন, এক নজরে দেখা যাক, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে গেলে কী হতে পারে, সামরিক খাতে কার কী অবস্থা, কোন দেশ কতটা শক্তিশালী, কার কার হাতে আছে পারমানবিক অস্ত্রের মজুদ? আমাদের এই পর্বে এমন ১০টি দেশ নিয়ে কথা বলব, যারা পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন, খুটি নাটি সকল তথ্য পাবেন পুরো ভিডিও জুড়ে।
#1 ইরান
শুরুতে ই ইরানের কথা ধরা যাক, আমিরিকা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, যে ইরান বেআইনিভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে। অবশ্য ইরান এই অভিযোগ কখনো অস্বীকার করেনি। তবে ইরনানের সব থেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে স্থল ক্ষেপণাস্ত্র। এই মক্ষম হাতিয়ারের সমকক্ষ আমেরিকাও বানাতে পারে নি। হরমুজ প্রনালির মত বেস্ত জাহাজ চলাচলের পথ। ইরানের সেরা যেটি বন্ধ করে দিলে রাশিয়া, চিন, সৌদিআরবের তেলের বাজারে হাহাকার লেগে যাবে মুহূর্তের মধ্যে।
#2 উত্তর কোরিয়ার
এই দেশেরটি নামটা অনেক ই দেখে অবাক হতে পারেন। তবে আমাদের মতে পারমাণবিক দেশের খত্রে উত্তর কোরিয়ার নামটা আসলে সবার উপরেই রাখা উচিত। কারন তাদের মাথা নষ্ট একজন স্বৈরশাসক কিম জং-উন। কারন তিনি যেকোনো সময় পারমানিবক পাঠাতে বলে উঠতে পারেন। স্থল বা বিমান আক্রমণ দুর্বল হলেও পারমাণবিক দিক দিয়ে তারা খুবই শক্তিশালী বলা যায়।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#3 ইন্ডিয়া
পাকিস্তানের সাথে তর্জন গর্জন করে সারা, তবে তাদের কি সাধ্য আছে আমিরিকা কিম্বা রাশিয়ার সাথে পেরে উঠা। তবে খানিকটা আছে বৈকি, ২০১৯ সালে এক সমীক্ষায় পরাশক্তি দেশ হিসেবে ভারত ছিল ৪র্থ, পারমাণবিক ত আছেই সেই সাথে তাদের নৌ, বিমান বাহিনি যথেষ্ট সমান। তাই ভারতে কেউ আক্রম করতে আসলে ভারত ও কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না তা বোঝাই যাচ্ছে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#4 পাকিস্তান
এই তালিকায় ভারতের থেকে পাকিস্তানকে উপরে রাখার একটাই কারন, আর তা হলো ভারতের আগেই তারা পারমাণবিকে মালিক হয়েছেন। তাছাড়া আমেরিকা ও চিনের সাথে তাদের সু সম্পর্ক ত আছে ই। আর এই দুই দেশের ট্রেনিং প্রাপ্ত পাকিস্তানের সৈন্যরা। এই করণেই ভারতকে নাচিয়ে ছেড়ের দেয়ার মত তাদের শক্তি আছে। কাশ্মীর সিমান্তে একটা কথা প্রচলিত আছে, ভারতের দুইজন সৈন্য সমানসমান পাকিস্তানের একজন।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#5 ইসরাইল
ইসরাইলের জায়গা ৫ নাম্মারে নয় আরো উপরে থাকার কথা। দেশটি খুব বেশি বড় না হলেও, পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক তারাও। তাদের আছে প্রশিক্ষিত একদল সৈন্য। বাধ্যতামূলক সেই দেশের নাগরিকরা ২১ বছর হওয়ার পর দুই বছর সেনাবাহিনীতে কাটাতে হয়। এটি একটি খুবী বড় বিষয়। যা অন্য কোন দেশে এমনটি আইন নেই। তার জন্য তারা এক ধাপ এগিয়ে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#6 ইংল্যান্ড
যুদ্ধবাজ ব্রিটিশদের কেনা চেনে, প্রথম ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাদের ভালই ভুমিকা ছিল। তবে তারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে চায়। তবে দরকার হলে ভাল মানুষের মুখোশটা টেনে খুলতে দেরি করবে না তারা। পারমাণবিক অস্ত্র আছে তাদের কাছে। আর তাদের বিমান বাহিনি এতটাই চৌকস যে পৃথিবীর বাঘা বাঘা বিমানবাহিনীরা লজ্জা পেয়ে যায়।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#7 চিন
চিনের সব থেকে শক্তিশালী বিষয় হচ্ছে তাদের স্থল বিভাগ। ট্যাঙ্ক, রেজিমেন্ট, বিমান বিধ্বংসী কামানের বিশাল মজুত আছে তাদের কাছে। আছে নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো ফাইটার প্লেন। পবারমানবিক অস্রে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাকিস্তানের যে পবারমানবিক প্লানটি করা সেটিও চিনের বানানো। প্রতি বছর বাজেটের একটি বড় অংশ তারা ব্যাবহার করে এই অস্রের পেছনে। এবং বিজ্ঞানীদের একটি বিশাল দল নিয়োজিত আছে তাদের এই অস্ত্র তৈরি কাজে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#8 ফ্রান্স
দেখে মনে হতে পারে তারা ভাজা মাছটি উলটে খেতে পারে না। কিন্তু ভুলে যাবেন না ফ্রান্স কিন্তু নেপুলিনের দেশ। যুদ্ধটা তাদের রাক্তে মিশে আছে। প্রায় সাত কোটি মানুষের দেশটিতে তাদের সৈন্য সংখ্যা প্রায় পঁয়ত্রিশ লাখ। অর্থাৎ প্রতি ২০ জনের একজন হচ্ছে ১ জন সেনা। পারমাণবিক অস্র তাদের ভান্দারেও আছে। কিন্তু যুদ্ধ নিয়ে তারা বেশি একটা উচ্চবাচ্য করে না। এইজন্য মানুষ বেশি একটা তাদের বিষয় জানে না। মনে রাখবেন সিরিয়াতে হামলা সবার আগে তারা ই জানিয়েছিল।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#9 আমেরিকা
মিলিটারি পাওয়ার হাউস নামে যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হচ্ছে আমেরিকা। দুনিয়ার সব চেয়ে অস্রের মালিক তারা। সব থেকে বেশি ফাইটার তাদের দখলে। ট্যাঙ্কের সংখ্যা, মিসালের সংখ্যা সব কিছু ই বেশি মজুত তাদের কাছে। পুরো বিশ্ব যদি আমিকার সাথে যুদ্ধ বাধায়, সেই যুদ্ধে আমেরিকাকে হারাতে পারে এটা সটীক ভাবে বলা যাবে না। যে কোন দেশের সরকার কে বদলে দিতে পারে তারা। যে কোন দেশকে মাটির সাথেও মিশিয়ে দিতে পারে তারা। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে তাদের পারমাণবিক অস্র আছে ভুরি ভুরি, কিন্তু অন্য দেশের পারমাণবিক অস্র দেখলে তাদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#10 রাশিয়া
আমেরিকার নাম এই তালিকায় নবম নিশ্চয়ই মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে কেন এত নিচে। তারা কিভাবে আমেরিকার থেকে বড় পরাশক্তি হয়। গুগল করলে অস্ত্রশস্ত্র নিচে পাবেন। তবে বাস্তবে রাসিয়া গুলি, বোমা, বা পারমাণবিক দিয়ে যুদ্ধ করতে যায় না। তাদের আরো একটি অস্র আছে, যেটা পুরো দুনিয়ার আর কারো কাছে নেই।
ভ্লাদিমির পুতিনের খুড়েধাঁর মস্তিক। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এখনো আমেরিকার সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে আছে।
শুধুমাত্র পুতিনের কারনে। সিরিয়ার বাসার আল আসাদ, শুধুমাত্র টিকে যায় পুতিনের কারনে। আমেরিকার ইলেকশনের ফলাফল পাল্টে যায় তার ভুমিকার কারনে। পুতিনের কারিশমা ত কোন অস্রের থেকে কম অংশে কম নয়। আর যদি অস্রের কথা ই ধরি তাহলে পুরো দুনিয়েকে বোকা বানিয়ে রেখেছে এই রাশিয়া। কারন তাদের কাছে এমন এমন অস্র আছে যার ধারণা তারা এখনো অব্ধি মানুষের কাছে দেয়নি।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings