বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের রুট আরেক দফা পরিবর্তন করেছে মিয়ানমারভিত্তিক পাচারকারী চক্র। পুরনো রুটে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ায় নতুন রুটে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢোকানো হচ্ছে। কৌশল হিসেবে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসছে ইয়াবার চালান। নতুন রুটের তথ্য পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে মাদকের চালান ঢুকতে না পারে সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের সীমান্ত এলাকার প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে ইয়াবার চালান বাংলাদেশে ঢুকছে এমন তথ্যে রয়েছে। এর ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারত থেকে আসা কয়েকটি চালান জব্দ করা হয়েছে। ইয়াবা পাচার ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চল। ভারতীয় প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
জানা যায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার সীমান্তে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা নতুন কৌশল নিয়েছেন। রুট পরিবর্তন করে তারা ভারতীয় সীমানা ব্যবহার করে ইয়াবার চালান বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে বড় বড় চালান। বিশেষ করে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম, সিলেটের তামাবিল ও জকিগঞ্জ, হবিগঞ্জের বাল্লা ও মনতলা, যশোরের চৌগাছা, শার্শাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রায়ই ঢুকছে ইয়াবার বড় বড় চালান।
মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে ঢোকার পথে সম্প্রতি কয়েকটি চালান জব্দ করে ভারতীয় প্রশাসন। যার মধ্যে ২ জানুয়ারি কলকাতার উল্টোডাঙ্গা থানার বেলগাছিয়ায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি হেরোইন ও ২ লাখ ৩২ হাজার পিস ইয়াবা রয়েছে। কলকাতার বিশেষ সংস্থা এসটিএফ এগুলো জব্দ করে। ৭ ডিসেম্বর কলকাতার এসপ্ল্যানেড অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ২০ কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করে এসটিএফ। এ দুটি চালানই বাংলাদেশে প্রবেশের কথা ছিল বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings