ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং শেখ হাসিনার বাসভবন সুধাসদনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
এদিন প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে আগুন দেয়া হয়। এরপর বুলডোজার ও ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এই সুযোগে বাড়ির অবকাঠামোর বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যান অনেকে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতাও জড়ো হন। এসময় কয়েক ভ্যান পুলিশ দেখা গেলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
খানিক পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকার বাসভবন সুধাসদনেও হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এ হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এর আগে খুলনা মহানগরের ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ওই বাড়িটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার বাড়ি।
এদিন রাতে কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। শহরের পিটিআই সড়কে তিনতলা বাড়িটি ভাঙা শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে। প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেটে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দেশের আরো কয়েকটি স্থানের মত রংপুরের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন রাতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতে আছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যাদের নেতৃত্বে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি। পরে এদিন সন্ধ্যায় দিকে ফেসবুকে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।
এর আগে বিকেলে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াস হোসাইন ও পিনাকী ভট্টাচার্য ফেইসবুকে ‘ধানমণ্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল’ ঘোষণা করেন। এক ফটোকার্ড শেয়ার করেন তারা। তাতে বলা হয়, হাজারো ছাত্রজনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই খুনি হাসিনার বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র জনতার উদ্যোগে রাত ৯টায় এই কর্মসূচি পালিত হবে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings