দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জয়ী হয়ে দেওয়া এক ভাষণে লি জে-মিয়ং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। নির্বাচনি প্রচারে তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি গণভোটের মতো প্রচারণা চালান, যা ব্যাপক সাড়া ফেলে।
পরাজয়ের পর এক বিবৃতিতে কিম মুন-সু বলেন, “আমি জনগণের সিদ্ধান্ত সম্মানের সঙ্গে মেনে নিচ্ছি। লি জে-মিয়ং-কে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন।”
ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়লের সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করে। এবার নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনের দলকে প্রত্যাখ্যান করে তারা বিরোধী দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনল।
লি জে-মিয়ং আগে বিতর্কিত রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিন বছর আগে নির্বাচনে পরাজিত হন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। তবে সম্প্রতি তিনি রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, চলমান সংকটে লি-ই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে স্থিতিশীল পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
তবে তার সামনে রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার শুল্কনীতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের চিন্তা-ভাবনা ওয়াশিংটন-সিউল সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
লি জে-মিয়ং অতীতে যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। যদিও নির্বাচনি প্রচারে সে অবস্থান কিছুটা নমনীয় ছিল, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথাও বলেছেন—যা ভবিষ্যতে কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings