গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে জড়িয়ে এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা পুরোপুরি অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে বলেন, শেখ মাসুদ নামে এক ব্যক্তি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে জড়িয়ে তার ফেসবুক পোস্টে গত ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে তিন ছাত্রনেতাকে আনার বিষয়ে যে ভাষ্য দিয়েছেন, তা সর্বৈব অসত্য। ওইদিনের ঘটনার বর্ণনায় বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে জোনায়েদ সাকির বারবার বের হওয়া ও সামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে তিনজন সদস্যকে ভেতরে নিয়ে আসার বিষয়ে যা বলেছেন, তা একেবারেই তার কল্পনাপ্রসূত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেদিন জোনায়েদ সাকি গণতন্ত্র মঞ্চের ৩ নেতা, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন; যারা বঙ্গভবনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাদের নিয়ে আসার জন্য কর্তব্যরত সামরিক কর্মকর্তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যে তিন ছাত্রনেতা বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে জোনায়েদ সাকির যোগাযোগের কোনো সূত্রই ছিল না। তাদের দরবার হলে নিয়ে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তারা কার মাধ্যমে দরবার হলে প্রবেশ করেছিলেন, সে বিষয়ে জোনায়েদ সাকি কিছুই জানতেন না। ইতোমধ্যে সেই তিন ছাত্র তাদের নিজস্ব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যে, তারা সেদিন নিজেদের মতো করে দরবার হলে ঢুকেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, কাজেই বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে এ ধরনের অসঠিক সংবাদ পরিবেশন ভীষণভাবে অনভিপ্রেত। আর সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলা প্রয়োজন, দীর্ঘ কয়েকদশকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ও পরীক্ষিত একজন জাতীয় নেতা জোনায়েদ সাকি বিষয়ে ফেসবুকের একজন ব্যক্তির এমন আপত্তিকর পোস্ট ধরে সংবাদ পরিবেশন অত্যন্ত অযৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উদাহরণ হতে পারে না।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings