রাজধানীতে কোরবানির গরুর চামড়ার মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। মাঠপর্যায়ে দেখা গেছে, এবারও আগের বছরের মতো ৫৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই লেনদেন হয়েছে, আর অনেক ক্ষেত্রে দাম পড়েছে তার চেয়েও কম।
রোববার (৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুরবানিদাতাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকায় গরুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা, যা পরে ট্যানারি মালিকদের কাছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে এ তথ্য নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ।
আজমপুরের চামড়া ব্যবসায়ী হাফিজ আলম বলেন, “৭৫০ টাকায় চামড়া কিনে পরে যখন বাজারে গেলাম, দেখি ৮০০-৮২০ টাকার বেশি কেউ দিতে চায় না। লোকসান গুনতে হয়েছে।”
নতুনবাজারের ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন, “ভ্যান ভাড়া, লেবার খরচ সব মিলিয়ে এবার চামড়া কেনায় লাভ তো দূরের কথা, খরচই উঠে আসেনি।” খিলক্ষেতের মিজানুর বলেন, “প্রতি বছর ট্যানারি মালিকরা কম দাম দেয়। আমরাও এখন আর আগের মতো দাম দিয়ে চামড়া কিনতে আগ্রহ পাই না।”
অন্যদিকে ট্যানারি মালিক ও এজেন্টদের দাবি, কাঁচা চামড়া নয়, লবণযুক্ত প্রস্তুত চামড়ার জন্যই নির্ধারিত হয়েছে সরকার নির্ধারিত মূল্য। তারা জানান, সব চামড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় কেনা হয়েছে—এ দাবি সত্য নয়। অনেক ভালো মানের চামড়া তারা ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকায়ও কিনেছেন।
এছাড়া ছাগলের চামড়ার চাহিদা এবারও ছিল না বললেই চলে। অনেক জায়গায় তা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে, কোথাও কোথাও ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার ঈদুল আজহায় ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার সিংহভাগ সংগ্রহ হয়েছে ঈদের প্রথম দিনেই।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings