গরমকালে অনেকসময়ে বাচ্চাদের ত্বকে দেখা দেয় লাল লাল র্যাশ। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘হিট র্যাশ’। অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক! কীভাবে তার মোকাবিলা করবেন ?
গরমকালে অনেকসময়ে বাচ্চাদের ত্বকে দেখা দেয় লাল লাল র্যাশ। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘হিট র্যাশ’। অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক! কীভাবে তার মোকাবিলা করবেন ? রইল পরামর্শ–
ত্বকের বিভিন্ন ভাঁজ যেমন বাহুমূল, গলা, কুঁচকি ইত্যাদি অংশে ঘাম জমে হিট র্যাশ হয়।বাচ্চাদের পাউডার মাখাবেন না। পাউডারের ফলে ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ হয়ে যায়। কাজেই, ঘাম বেরনোর পথ না পেয়ে, বাচ্চার কোমল ত্বকে লাল লাল র্যাশ হয়ে ফুটে বেরয়। অনেকসময় মায়েরা না জেনে ঘামাচিনাশক পাউডার লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে, বাচ্চার কষ্ট আরও বাড়িয়ে তোলেন।
বাচ্চাদের হালকা সুতির পোশাক পরান। পাশাপাশি, গরমে শিশুদের দীর্ঘক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখলে কুঁচকি-সহ সংলগ্ন অংশে হিট র্যাশের প্রবণতা বাড়ে। একটু মেঘ করলে, বা সন্ধে হলে অনেক মায়েরা বাচ্চাদের মোটা পোশাক পরিয়ে দেন। এটাও কিন্তু হিট র্যাশের অন্যতম কারণ। হাওয়া লাগিয়ে ঘাম শুকোতে দিলে এবং নিয়মিত ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখলে ঘাম জমতে পারে না, হিট র্যাশও হয় না।
কদম ছোট বাচ্চা, যারা বেশিরভাগ সময়ে শুয়ে থাকে, তাদের ন্যাপি র্যাশ ও হিট র্যাশ হওয়ার প্রবণতা বেশি। এদের অযথা চাদর বা কাপড় দিয়ে ঠেকে রাখবেন না।
ত্বকের সমস্যার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে গরমে শিশুদের ত্বকের পিএইচ (প্রোটেনশিয়ল হাইড্রোজেন) ব্যালান্স স্বাভাবিক করতে বেশি পরিমাণে তরল ও জল খাওয়ান।
গরমের সময়ে বাচ্চাদের রোদ্দুরে না নিয়ে বেরনোই ভাল। বিশেষ করে, সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত নিতান্ত দরকার না থাকলে বাইরে নিয়ে যাবেন না। হিট র্যাশ-এর জ্বালা কমাতে মাইল্ড আফটারশেভ লোশন বা ক্যালামাইন জাতীয় লোশনও লাগাতে পারেন।
GIPHY App Key not set. Please check settings