বিসিএসে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। কর্মরত আছেন সচিবালয়ে। এমন পরিচয় দিয়ে মো. গোলাম মোস্তফা এপর্যন্ত ৫ টি বিয়ে করেছেন। যারা বিত্তশালী পরিবারের ছাত্রী। শুধু তাই নয় ট্রেনিং ও বিদেশে যাওয়ার কথা বলে তিনি ওই পাত্রীদের কাছ থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কথিত ওই বিসিএস ক্যাডার কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাদের টার্গেট করতেন যাদের আছে অঢেল টাকা। তাদের মেয়েকে বিয়ে করে বিদেশে যাওয়া কিংবা ট্রেনিংয়ের কথা বলে হাতিয়ে নিতেন টাকা। বিয়ের পরই তার আসল পরিচয় প্রকাশ পায় টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না তার। অবশেষে ধরা খেয়েছেন ওই কথিত বিসিএস ক্যাডার। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের একটি বিশেষ দল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপসচিব পরিচয়দানকারী ওই প্রতারককে আটক করেছে।
তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত প্রতারক নিজেকে কখনও ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনও উপসচিব অথবা সচিবালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। তার মূল টার্গেট ছিল– বিত্তবান পরিবারের অবিবাহিত ও চাকরিজীবী কন্যা।
ঢাকা নগরীর কয়েকজন অসাধু ঘটকের কাছ থেকে অবিবাহিত মেয়েদের বায়োডাটা টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন তিনি। পরে পরিবারের
সদস্য বিশেষ করে পাত্রীর মায়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করার চেষ্টা করেন। এর পর বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাত যেমন-পিএইচডি করতে বিদেশ যাওয়া, দুদককে ঘুষ দেয়া, বদলি বাতিল করাসহ নানা অজুহাতে বিয়ের পাত্রীর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। পরে ধারকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতেন।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে তার প্রতারণার শিকার হয়ে বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারক গোলাম মোস্তফার নামে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে সিআইডি। সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব ফরহানের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজার নেতৃত্বে রোববার রাতে কথিত বিসিএস ক্যাডার মোস্তফাকে আটক করা হয়।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings