in

ইসরাইলিদের সহিংসতায় পশ্চিমতীর ছাড়ছে ফিলিস্তিনি বেদুইন পরিবারগুলো

শুক্রবার সকালে জেরিকোর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আরব মলেইহাত বেদুইন জনগোষ্ঠীর ত্রিশটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার আরো ২০টি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাদের প্রশ্রয়ে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের চালানো নির্যাতন, হামলা ও হয়রানির শিকার হয়ে অধিকৃত পশ্চিমতীরের অন্তত ৫০টি ফিলিস্তিনি বেদুইন পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে জেরিকোর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আরব মলেইহাত বেদুইন জনগোষ্ঠীর ত্রিশটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার আরো ২০টি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আগে, ওই এলাকায় ৮৫টি বেদুইন পরিবারের প্রায় ৫০০ জনের বসবাস ছিল।

ফিলিস্তিনের একটি অধিকার সংগঠন, আল-বাইদার অর্গানাইজেশন ফর দ্য ডিফেন্স অফ বেদুইন রাইটস জানিয়েছে, ‘কোনো সহায়তা ছাড়াই’ বছরের পর বছর ধরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করার পর পরিবারগুলো এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দখল করে নেয়া পশ্চিমতীরজুড়ে ইসরাইলি বাহিনী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলিদের আক্রমণ বেড়েছে।

ওয়াফাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া মলেইহাত নামের এক বেদুইন নারী জানান, সশস্ত্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা বন্দুক দেখিয়ে তাকে ও আশপাশের পরিবারগুলোকে হুমকি দেন। পরে জেরিকোর দক্ষিণের আকবাত জাবর শরণার্থী শিবিরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তারা।

একই সম্প্রদায়ের সাত সন্তানের বাবা ৫০ বছর বয়সী মাহমুদ মলেইহাত বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘অস্ত্রধারী বসতি স্থাপনকারীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে আর ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের রক্ষা করছে। আমরা তাদের থামাতে কিছুই করতে পারি না। আমরা আর এই অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না, তাই আমরা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আল-বাইদার অর্গানাইজেশনের পরিচালক হাসান মলেইহাত বলেন, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী ও সেনাবাহিনীর ক্রমাগত হুমকি ও আক্রমণের কারণে জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো নিজেরাই তাদের তাঁবু খুলে নিতে শুরু করেছেন। এই হামলাগুলো সম্প্রদায়টিকে মুছে ফেলার এব ‘অবৈধ ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণের পথ উন্মুক্ত করার’ হুমকিও দেয়।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বহু ফিলিস্তিনি তাদের নিজভূমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছেন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় পশ্চিমতীর দখলের পর থেকে ইসরাইল ওই এলাকায় সামরিক দখল বজায় রেখেছে।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশই পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতিকে অবৈধ এবং জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে। অধিকৃত ভূখণ্ডটিতে বেসামরিক নাগরিকদের বসতি স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

চট্টগ্রামে হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়েতে আটকে বিমান

ইসরাইলের সহযোগীরাও নিজেদের জন্য কলঙ্ক তৈরি করছে’