অভিবাসন নীতির ওপর শুরু থেকেই কড়াকড়ি আরোপের কথা জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার এ বিষয়ে আরও কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তার সরকার একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে মার্কিন সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে।
গত ৪ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুডিশিয়াল ওয়াচের প্রেসিডেন্ট টম ফিটন এক পোস্টে লেখেন, আগামী প্রশাসন গণভাবে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িতকরণ কর্মসূচির অধীনে বাইডেনের আক্রমণকে প্রতিহত করতে সামরিক সম্পদ ব্যবহার করবে। এটির জবাবে ট্রাম্প লেখেন, সত্য। অর্থাৎ তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করবেন।
ট্রাম্প জয়ের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার প্রচারণার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার কথা জানিয়ে আসছেন। এটিকে আমেরিকার ইতিহাসের বৃহত্তম নির্বাসন কর্মসূচি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও অনেক দিক থেকে বিষয়গুলো অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
এর আগে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ঘোষণায় শঙ্কায় পড়েছেন ১০ লাখ ভারতীয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনে জয় পাওয়া রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে বিধান এতদিন প্রচলিত তা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির আগামীর ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের প্রচারাভিযান সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে বিধান তা বাতিল করা হবে। এর পরিবর্তে যাদের পিতা বা মাতা কারোর নাগরিকত্ব অথবা দেশটিতে বসবাসের বৈধ অনুমোদন রয়েছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া কোনো শিশু দেশটির নাগরিকত্ব পেতে হলে তার পিতা কিংবা মাতার কোনো একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা বসবাসের বৈধ অনুমোদন থাকতে হবে। দেশের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে এ নির্দেশনা পাঠানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনসংক্রান্ত আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত মার্কিন সংবিধানবিরোধী। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের পর এমন সিদ্ধান্ত সত্যিই কার্যকর করা হলে তা সংবিধান লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটবে।
মার্কিন অভিবাসন আইনজীবী গ্রেগ সিসকাইন্ড বলেন, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। ফলে এমন সিদ্ধান্ত নিলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings