মোবাইল ফোন (5/10)

নব্বইয়ের পর খুব দ্রুতই সব বদলাতে শুরু করে। প্রেম ঘটানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় মোবাইল ফোন। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবার প্রেমের অবলম্বনে পরিণত হয় এটা। নিজের নাম্বারের সঙ্গে নাম্বার মিলিয়ে ফোন দেওয়া, অতঃপর প্রেম। এমন ঘটনা ঘটেছে প্রচুর। আর এখন তো ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপসহ অনলাইন অ্যাপসগুলোর রমরমা অবস্থা।

না দেখে প্রেমে পড়ার দিন তো সেই কবেই গেছে। অনেকেই মজা করে বলেন ‘যাও পাখি বল তারে, সে যেন ভোলে না মোরে’র যুগ থেকে ‘লোকাল বাসে’র যুগে চলে এসেছে প্রেম। একাটা সময় প্রেমিক-প্রেমিকারা চিঠির জবাবের আশায় মাসের পর মাস অপেক্ষা করতো, এখন সেখানে টেক্সট এর রিপ্লাই দিতে একটু দেরি হলেই ব্রেক আপ! একটা সময় যেখানে প্রেমিকাকে এক নজর দেখতে বহুদূরের পথ পাড়ি দিত প্রেমিক, এখন সেখানে ভিডিও চ্যাটিংয়ে ২৪ ঘন্টা একে অপরের চোখের সামনেই থাকতে পারছেন তারা। কিন্তু প্রেমের মাধ্যমের আমূল পরিবর্তন কি প্রেমের বন্ধনকে দৃঢ় করেছে? নানা গবেষণা আর পরিসংখ্যান কিন্তু উল্টো ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রেমের মাধ্যম যতই হাতের মুঠোয় এসেছে, ভালোবাসা নাকি ততই ঠুনকো হয়েছে।

গবেষকরা বলেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম যা- কিছুই থাকুক না কেন, প্রেম প্রকাশ কিংবা প্রেমের বন্ধনকে দৃঢ় করার সবচেয়ে মোক্ষম মাধ্যম হলো চিঠি। কারণ হাতে লেখা প্রেমপত্রগুলো কেবল কাগজের টুকরোই নয়, বরং এগুলো সঙ্গীর মধ্যে দৃঢ় অনুভূতি জাগ্রত করার ক্ষমতা রাখে। 

যখন আপনার অনুভূতিগুলো কাগজের উপর ছড়িয়ে পড়ে, আপনি নিজের দুর্বলতাগুলো তার কাছে নির্দ্বিধায় তুলে ধরেন, তখন অন্য কোনোকিছুই আপনার সঙ্গীকে এর চেয়ে বেশি খুশি করতে পারে না। ফোনের মাধ্যমে পাঠানো ভার্চুয়াল মেসেজের তুলনায় চিঠির অক্ষরগুলো স্থায়ী। অস্থায়ী হওয়ায় আপনি মেসেজগুলো ধরে রাখতে পারবেন না। মেসেজগুলো দেখতে পাবেন ঠিকই তবে সেগুলো আপনার হাতে থাকা চিঠির মতো অনুভব করতে পারবেন না।

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

টেলিফোন (4/10)

সকালবেলা ফল খেলে যা হয়। (1/8)