আহসান হাবীব। (5/20)

বাংলাদেশে কার্টুন শিল্পের একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাকে মনে করা হয়, তিনি হলেন আহসান হাবীব। জনপ্রিয় এই কার্টুনিস্ট, রম্য সাহিত্যিক এবং কমিক লেখককে ‘বাংলাদেশি কার্টুনের পিতা’, ‘গ্র্যান্ডফাদার অব জোকস’সহ নানা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। পল্টু-বিল্টু, পটলা-ক্যাবলা তার সৃষ্ট কিছু বিখ্যাত কমিক্স চরিত্র। তিনি জনপ্রিয় মাসিক রম্য পত্রিকা উন্মাদের বর্তমান প্রধান সম্পাদক। জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনি।

আহসান হাবীব ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তার পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও (উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহিদ হন। পিতার চাকরির কারণে আহসান হাবীব ছোটোবেলায় আটটি ভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তার ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময়ই কাটে বগুড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পিরোজপুর, দিনাজপুর, মোহনগঞ্জসহ আরও কিছু জায়গায়। তার ডাক নাম শাহীন। নাম ঠিক করার সময় বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদার নাম অনুসারে আহসান হাবীবের ভালো নাম রাখা হয়েছিল কুদরতে খোদা। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো মাসুদ আহমেদ এবং সবশেষে ইবনে ফয়েজ মুহম্মদ আহসান হাবীব। বর্তমানে তিনি শুধু ‘আহসান হাবীব’ নাম ব্যবহার করেন।

আহসান হাবীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে পাস করেন। পাস করার পর থেকে তিন দশক ধরে তিনি উন্মাদের সাথে জড়িত আছেন। শিক্ষার্থী থেকে কর্মজীবনে পা দেয়ার পর উন্মাদের অন্য কর্মীদের মতো আহসান হাবীবও ব্যাংকে যোগ দেন। তবে বেশিদিন মন টিকেনি ব্যাংকের চাকরিতে। পরবর্তীতে তিনিই প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, এবং পরে পুরোদস্তর সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তাছাড়া তিনি বর্তমানে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব কমিক আর্ট’ কার্টুন পত্রিকার বাংলাদেশী এডিটরের দায়িত্বও পালন করছেন। এছাড়া আহসান হাবীব ও হাসান খুরশিদ রুমি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ম্যাগাজিন পত্রিকা মৌলিক প্রকাশ করেন। তবে ম্যাগজিনটি তিন বছরের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়।

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

মুর্তজা বশীর। (4/20)

শেখ তোফাজ্জল হোসেন তোফা। (6/20)