ফাং-ওয়াং আজ রোববার রাতের প্রথম দিকেই অরোরা প্রদেশের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। টাইফুনটি বর্তমানে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিতে ধেয়ে আসছে, যা দমকা হাওয়ার সঙ্গে ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর বিশাল বৃষ্টি বলয় এরইমধ্যে লুজনের অনেক অংশে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে।
একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ফিলিপাইন নতুন এক প্রলয় সামলাতে আবারো প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোববার রাতেই মূল দ্বীপ লুজোনের আওরোরা প্রদেশে সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়াং’ (স্থানীয় নাম ‘উওয়ান’) আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। খবর রয়টার্স।
ফাং-ওয়াংয়ের প্রভাবে এরইমধ্যে লুজনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় রাজধানী মেট্রো ম্যানিলাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ৯ লাখের বেশি মানুষকে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফাং-ওয়াং আজ রোববার রাতের প্রথম দিকেই অরোরা প্রদেশের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। টাইফুনটি বর্তমানে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিতে ধেয়ে আসছে, যা দমকা হাওয়ার সঙ্গে ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর বিশাল বৃষ্টি বলয় এরইমধ্যে লুজনের অনেক অংশে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে।
গত মাসের টাইফুন ‘কালমেগি’-এর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ফিলিপাইনে অন্তত ২২৪ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছিল কালমেগি। সে সঙ্গে, প্রতিবেশী দেশ ভিয়েতনামেও মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে—বিশেষ করে কাটানডুয়ানেস, কামারিনেস সুর ও আওরোরা প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘সিগন্যাল নম্বর ৫’ জারি করেছে। রাজধানী মেট্রো ম্যানিলা ও আশপাশের প্রদেশগুলো রয়েছে সিগন্যাল নম্বর ৩ সতর্কতায়। কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৪০০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গিলবার্তো তেওদোরো নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে থেকে যান। কিন্তু এটি শুধু বিপজ্জনক নয়, আইনবিরুদ্ধও। আমরা অনুরোধ করছি সবাইকে আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে—যাতে আমাদের উদ্ধারকর্মীদের জীবন বিপন্ন না হয়।‘
ফিলিপাইন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজার সৈন্যকে মানবিক সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য এবার ‘শূন্য প্রাণহানি’ নিশ্চিত করা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসাবেলায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, প্রবল বাতাসে গাছপালা দুলছে, গাড়ির উইন্ডশিল্ডে বৃষ্টির চাপে দৃশ্যমানতা কমে গেছে। ইস্টার্ন ভিসায়াসে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ছোট নৌকা থেকে ট্রাকে করে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!



GIPHY App Key not set. Please check settings