ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। তিন মহাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এই দেশ তিনটি আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এরমধ্যে প্রথম ঘোষণা আসে কানাডার পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও সর্বশেষে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেয়।
ঘোষণা সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, ‘কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।’
এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, ‘শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে আমি আজ অসাধারণ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের বহু পুরোনো মিত্র অবস্থান বদলেছে। ২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর দেশটি গাজায় হামলা আরও তীব্র করায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ, প্রাণহানি ও খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এবং গোটা অঞ্চল এখন মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। এই সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতারা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানের জন্য তথাকথিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।
আজ ইউরোপের আরেক দেশ পর্তুগালেরও ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings