সেলফোন, নাকি বিড়ম্বনার কারখানা?

যান্ত্রিক এই জীবনে বর্তমানে সেলফোন আমাদের একটি আশীর্বাদ বলা যায় তা সহজ ভাবে। তবে এই আশীর্বাদ অনেকটা অভিশাপ পরিণীত হচ্ছে ধিরে ধিরে। এই সেলফনের জন্য জীবন কত ঝরে গিয়েছে তার প্রমান আছে ভুরি ভুরি! আর এটি হতে পারে যেকোনো বয়সীরই।

প্রতিটাক্ষণ মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে আপনি ভুলে  যাচ্ছেন সম্পর্কের চর্চা করতে। মুখোমুখি আলাপ, গল্প কিংবা আড্ডা জমছে না আর। কালেভাদ্রে গল্প জমলেও খানিক পরেই আবার মোবাইলে বুঁদ। 

একান্ত সময়ে মেইল বা মেসেজ পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না হলে চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে চেক করতে।অতিজরুরী আলোচনা সামনাসামনি করার চেষ্টা করুন। কম সময়ে, ভুল বোঝাবুঝি এড়ানোর রিস্কটা কম থাকে।ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও টেক্সটিং বা মেইলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামনে বসে কথা বলা। এতে স্ট্রেস অনেক কম থাকে। তাই খুব দরকার না পড়লে টেক্সট বা হোয়াটসঅ্যাপ বর্জন করে ফোনে কথা বলুন বা সামনাসামনি দেখা করুন।

একঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, যতটুকু সময়ই রাখছেন তা যেন যথাসম্ভব কম্পিউটার বা মোবাইল ফ্রি থাকে। নেটে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বই পড়াও বজায় রাখুন।

চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাওয়ার আগ থেকে অন্তত দু-এক ঘণ্টা আগে থেকে নেট, মোবাইল সব বন্ধ করে দিন। অনিদ্রার প্রকোপ কমবে। সপ্তাহে অন্তত এক বেলা টেকনোলজিকে যথাসম্ভব বর্জন করে যা করতে মন চায়, তাই করুন। কানে আইপডের তার না গুঁজে শুনুন পাখির ডাক। আমি নিশ্চিত বিষয়গুলো মানলে আপনার জীবনে আনবে পরিবর্তন।