চরফ্যাসনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও নদী-সমুদ্রে ইলিশের সংকটে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বরফ কল। উপজেলার ৩৫টি বরফ কলের মধ্যে ২০টি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, আর ১৫টি চলছে সীমিত আকারে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মাছঘাট, আড়ত ও মৎস্য সংশ্লিষ্ট শিল্প।
বিদ্যুৎ না থাকায় বরফের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে ঘাটে জমে থাকা লাখ লাখ টাকার ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ পচে যাচ্ছে। একইসঙ্গে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ায় প্রায় ৬০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
বোরহানউদ্দিনে অবস্থিত ৩৪ মেগাওয়াট রেন্টালের দুটি ট্রান্সফরমারের একটি বিকল হয়ে যাওয়ায় পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সচল একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে ছয়টি উপজেলায় সীমিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে দিনে-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
বরফ কল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, ‘দুই মাস ধরে লোকসানে আছি, উৎপাদন বন্ধ, অথচ শ্রমিকদের বসিয়ে রেখেই বেতন দিতে হচ্ছে।’
সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া জানান, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে আবার বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে কল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
মৎস্য ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, ‘দ্বিগুণ দামে মাছ কিনেও বরফের অভাবে পচে যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রিপে ১০-১৫ হাজার টাকা করে লোকসান দিতে হচ্ছে।’
সামরাজ আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আজিজ পাটোয়ারী জানান, ‘কয়েক দিনেই দুই কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে।’
ট্রলার মালিক ছালাউদ্দিন বলেন, ‘বরফ না থাকায় অনেক জেলে সাগরে যেতে পারছেন না।’
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ট্রান্সফরমার মেরামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই। চরফ্যাসন সাব-স্টেশনের সক্ষমতা কম হওয়া, বিতরণ কোম্পানি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমন্বয়হীনতা এবং কারিগরি ত্রুটিই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings