অজ্ঞাত একটি মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসা হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজকে কেন্দ্র করে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রæপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমরা আবারও আরেকটি সম্ভাব্য হুমকির বার্তা পেয়েছি। বার্তা পেয়েই নির্ধারিত প্রোটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সব বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১১টায় এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দরে হুমকির বার্তা পাঠানো হয়। এরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার সকালে রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বিমানের একটি ফ্লাইটে বিস্ফোরক দ্রব্য বা বোমা থাকার বার্তা দেওয়া হয়। ফ্লাইটটি গতকাল বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করে। পরে পুরো প্লেনে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে প্লেনে বোমা ও বোমা সদৃশ কিছু পাওয়া যায়নি।
তবে বাস্তবে দেখা গেল ঠিক তার উল্টো। প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরই ট্রাম্প রীতিমত হুমকির সুরে বলেন, ”যদি ব্রিকস দেশগুলি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনও মুদ্রায় নেলদেনের পদক্ষেপ নেয় তাহলে মুশকিল হবে। ব্রিকস দেশগুলি যদি এরকম কিছু করে, তবে আমরা তাদের সঙ্গে সেই ব্যবসায় কমপক্ষে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাব।”
১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো নিয়ে এর আগেও বিশ্ব রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একবার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ”ভারত কখনই ডি-ডলারাইজেশনের পক্ষে ছিল না। ব্রিকস মুদ্রা রাখার কোনও প্রস্তাব নেই ভারতের।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত অক্টোবরে ব্রিক দেশগুলির এক শীর্ষ সম্মেলনে ডলারের পরিবর্তে বিকল্প মুদ্রায় ব্যবসা করার পক্ষে নিজের মতামত পোষণ করেন।
বিমানে ওই বিস্ফোরক থাকার বার্তাটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে বিমানবন্দর এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এসেছিল।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings