সাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবমতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় দায়ের করা ২৪ বছরের পুরনো মামলা থেকে খালাস পেলেন জয়নুল।
রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই কারণে তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া দুদক আসামিদের সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে নোটিশ জারি করেনি বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন এবং বিচারক মামলার অভিযোগকারীসহ তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
১৯৯৯ সালের ২৬ মে দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে বিলুপ্ত) ফারুককে নোটিশ প্রাপ্তির দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে তার সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলে। ওই বছরের ৯ জুলাই তিনি ওই নোটিশ পেলেও ৪৫ দিনের মধ্যে তথ্য দেননি।
এ বিষয়ে ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন ব্যুরো ফারুকের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করে।
পরে তিনি ২০০১ সালের ২৬ জুন ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিন পেলেও পরে আদালতে হাজির হননি। ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর ফারুক আদালতে হাজির হয়ে মামলায় জামিন চেয়েছিলেন।
এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে জয়নুল আবেদীন ফারুক হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। দীর্ঘদিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিচার চলবে বলে রায় দেন। এরপর বিচারক আদালতে মামলার কার্যক্রম আবার শুরু হয়।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings