ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন পারভক্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাস্কের ‘মেয়ে’ ভিভান জেনা উইলসন।
অবশ্য বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নেই জেনার। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর নিজের নাম পরিবর্তনও করেছিলেন জেনা। ট্রাম্পের জয়ের পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডসে একটি পোস্টে জেনা উইলসন লিখেছেন- ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভাবনাচিন্তার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু গতকাল আমি মনস্থির করে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না। ’
জেনার এই পোস্টের পর ইলন মাস্ক এক্স-এ লিখেছেন, ‘জাগ্রত মন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক ও তার প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের ঘরে ছয় সন্তানের একজন জেনা। তিনি একজন রূপান্তরিত নারী। জেনা আগে ছেলে ছিলেন।
২০২২ সালে ২০ বছর বয়সে জেন্ডার রূপান্তর (ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া) ও নিজের নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।
এ সময় থেকেই বাবার সম্পর্কে ছেদ ঘটে তার। জেনার অভিযোগ ছিল, বাবা তার রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) হওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিচ্ছেন না।
যদিও সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পেছনে বেসরকারি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘নব্য মার্ক্সবাদীদের’ দায়ী করেছিলেন মাস্ক।
মাস্কের দাবি, জেনা উইলসনের মাথায় ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার ইচ্ছার ভাইরাস তার স্কুল থেকে ঢোকানো হয়েছে।
তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথম সন্তান নেভাডার মৃত্যুতে যতটা না কষ্ট পেয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন জেনা উইলসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings