চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এ প্রস্তাব অনুমোদনের মাধ্যমে সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়!
সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন তিনি। খবর বিবিসি।
একদিন আগেই শারাকে সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, এ সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএস-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোটে সিরিয়ার আনুষ্ঠানিক যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে, সিরিয়া জুড়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সেলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী এ অভিযানে ৬১টি পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরীয় কর্তৃপক্ষ। ট্রাম্প ও শারা-র বৈঠকে আইএসের অবশিষ্ট নেটওয়ার্ক নির্মূলের যৌথ উদ্যোগই আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর শারার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোট সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তার দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন আহমেদ শারা। ক্ষমতায় আসার পর থেকে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ ও আসাদ আমলের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে সিরিয়াকে আবার বৈশ্বিক মঞ্চে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন শারা। সেসময় তিনি বলেন, সিরিয়া বিশ্বের জাতিগুলোর মাঝে তার প্রাপ্য স্থান পুনরুদ্ধার করছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এ প্রস্তাব অনুমোদনের মাধ্যমে সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রও ধীরে ধীরে সিরিয়ার নতুন সরকারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক চাপ হালকা করছে।
শারা পূর্বে মুহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতা হিসেবে এ নামটি তিনি ব্যবহার করতেন। এইচটিএস ২০১৬ সাল পর্যন্ত আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন ছিল। পরবর্তীতে শারা ওই সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এর আগে শারা আল-কায়েদা ইন ইরাকে যোদ্ধা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় কিছু সময়ের জন্য তিনি মার্কিন বাহিনীর হাতে বন্দীও ছিলেন। তার মাথার জন্য একসময় যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তবে গত শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শারা ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস হাসান খাত্তাবের নাম সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে থাকা কালো তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। আর চলতি বছরের শুরুর দিকে এইচটিএস-এর ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!



GIPHY App Key not set. Please check settings