in ,

কিডনির সুরক্ষায় যা খাবেন

বিশ্বব্যাপী প্রতিবছরই কিডনির সমস্যা বেড়েই চলেছে। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা নিতেও সময় লাগছে। ব্যয়বহুল ও রোগীর আধিক্যে অনেকেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় লাখ লাখ লোক কিডনি অকেজো হয়ে মৃত্যুবরণ করছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনির সমস্যা দেখা যায় কিছু অনিয়মরে জন্য। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস যা কিডনি সুস্থ রাখে। কিডনির গুরুত্ব অপরিহার্য শারীরিক কর্মক্ষমতার জন্য। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি সুস্থ রাখতে।

দেখে নেওয়া যাক যে খাবার গুলো খেলে কিডনি ভালো থাকবে সে সম্পর্কে…

১ ) রসুন: রসুনে আছে পঁচনরোধী এবং জমাটরোধী উপাদান। যা কার্যকরভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে। রসুন কিডনিকে ক্ষতিকর ধাতব পদার্থের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। রসুনে আরো রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান ও মিনারেল। যেমন সোডিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। এটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাদ্য হিসেবেও বেশ পরিচিত।

২ ) অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল হার্টের জন্য ভালো, যা আমাদের সবারই জানা। তবে এটি যে কিডনির জন্যও উপকারী তা জানেন না অনেকেই। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহরোধী ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা জারণ কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। সালাদে বা রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় অলিভ অয়েল।

৩ ) মাছ: মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা দেহের প্রদাহ কমায় এবং কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। যাদের কিডনিতে সমস্যা হচ্ছে তাদের বেশি বেশি মাছ খাওয়া উচিত।

৮ ) পানি: শরীরের সার্বিক সুরক্ষায় পানি অপরিহার্য উপাদান। এটি শরীরের যেকোনো প্রত্যঙ্গের জন্যই উপকারী। কিডনির কার্যক্রম চলা কঠিন পানি ছাড়া। কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন।

৯ ) বাধাকপি: বাধাকপিতে ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে এবং আঁশ ও ফলিস এসিড রয়েছে। এই সবগুলো উপাদানই ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ইউরিনারি সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে।

১০ ) ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন। এতে আছে অ্যামাইনো এসিড যা কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য জরুরি। তবে কিডনির রোগ হলে ডিমের কুসুম না খাওয়াই ভালো। তাই বিশেষজ্ঞরা কিডনি রোগে আক্রান্তদেরকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

১১ ) বেরি: বেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, খাদ্য আঁশ এবং ফোলেট। স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, র‌্যাস্পবেরি এবং ব্লুবেরি কিডনির জন্য বেশ উপকারী বলে বিবেচিত হয়। বেরিতে আছে প্রদাহরোধী এবং পঁচনরোধী উপাদান এবং মূত্রাশয়ের কার্যক্রমেরও উন্নতি ঘটায়।

১২ ) আপেল: কিডনির সুরক্ষায় আপেল খুবই কার্যকর। এটি কোষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর করে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান এবং ভিটামিন থাকায় আপেল কিডনির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এছাড়া রক্তে কোলোস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং পেশাব পরিষ্কার রাখতেও বেশ কার্যকর আপেল।

১৩ ) তরমুজ: তরমুজে আছে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকর ফ্রি-অক্সিজেন রেডিকেল থেকে সুরক্ষা দেয়। তরমুজ কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত এবং পরিমিত খেলে কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেবে। নিয়মিত এবং পরিমিত খেলে কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেবে।

১৪ ) বাদাম: বাদামজাতীয় খাবার কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমানোর পাশাপাশি শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। বিশেষত কিডনি বিনস বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৫ ) শসা: শসায় আছে ৯৬ শতাংশ পানি। গবেষণা বলছে, নিয়মিত শসা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে এবং তা কিডনির পক্ষে যথেষ্ট উপকারী। ক্ষুদ্র পাথর দূর করতেও শসা কার্যকর।

১৬ ) লেবুর রস: লেবুতে আছে এসিড উপাদান যা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।

Report

What do you think?

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে যা করবেন

পাওয়ার ব্যাংক কেনার ক্ষেত্রে যা জানা জরুরী