মিশরের তাহতা শহরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের পেছনে আরেকটি ট্রেন ধাক্কা দিলে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৯১ জন আহত হয়েছেন। রাজধানী কায়রো থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নীল নদের কাছের শহর তাহতায় শুক্রবার এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বলেছে, দুর্ঘটনার সময় দুটি ট্রেনের গতি খুব বেশি ছিল না। তাই মাত্র দুটি বগি ধ্বংস হয়েছে এবং আরেকটি ঘুরে গেছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেখানে ৩৬ টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় তিনটি যাত্রীবাহী বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ভেতরে যাত্রীরা আটকা পড়েন। অনেকে অচেতন হয়ে পড়েন। অনেকের রক্ত ঝরতে দেখা যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে অনেককে পাশের মাটিতে রাখা হয়।
মিশরের রেল কর্তৃপক্ষ জানান, ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিরা’ একটি ট্রেনের ইমার্জেন্সি ব্রেক চাপলে সেটি লাইনের উপর দাঁড়িয়ে যায়। একই লাইনে দিয়ে একই দিকে আরেকটি ট্রেন যাচ্ছিল। যেটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায়, একটি খালের পাশে ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি উল্টে পড়ে আছে। সেগুলো দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। লোকজন চারপাশে ভিড় করে আছে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে মিশরের সবচেয়ে পুরোনো ও দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। সেখানে রেল দুর্ঘটনার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে থাকে। শুধু ২০১৭ সালেই দেশটিতে এক হাজার ৭৯৩ টি রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছিলেন, দেশটির রেল ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ১৪ দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার।
এর আগে গত বছরের দুটি ট্রেনের সংর্ঘষে দেশটিতে ৪৩ জন মারা যান। ২০১৬ সালেও কায়রোর কাছে এক রেল দুর্ঘটনায় ৫১ জন মারা যান। তবে ২০০২ সাল দেশটিতে দুটি দ্রুতগামী ট্রেনের সংঘর্ষে ৩০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
GIPHY App Key not set. Please check settings