in

অকাল মৃত্যু ঝুকি এড়াতে মেনে চলুন কিছু বিষয়।

আপনি কি জানেন বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কোন রোগের কারণে হয়? হ্যা ঠিক ধরেছেন, কার্ডিওভাস্কুলার বা হার্ট রিলেটেড রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেড় কোটির বেশি মানুষ মারা যায়। যদিও মৃত্যুর উপরে কোনো হাত নেই তবুও আমরা আমাদের হার্টের সাথে জড়িত খুব কমন একটা ফ্যাক্টর হার্ট বিট কে ঠিক রাখতে সচেতন হতে পারি। হার্ট বিট বেশি বা কমই আসলে সমস্ত হৃদরোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। একদম ক্রিটিকাল লেভেলে হার্ট ফেইল হলে এই বিটিং বন্ধ হয়ে যায়। তখন মৃত্যু অনেকটাই নিশ্চিত।  সিস্টোলিক এবং ডায়ালোস্টিক চাপের কারণেই আমাদের হার্টবিট ঘটে।

সহজ কথায়, হার্টবিট হলো আপনার হার্ট প্রতি মিনিটে কতবার বিট করে বা আরো সোজা করে বল্লে আমাদের হাতের পালস মিনিটে যতবার কেপে উঠে সেই হারকে আমরা হার্টবিট বলে থাকি। হার্ট রেট বিভিন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়৷ যেমন আপনার হার্ট প্রতি মিনিটে ৭৭ বার বিট করলে আপনার বাবার ক্ষেত্রে সেটা ৭০ হতে পারে কিংবা আপনার মার ক্ষেত্রে হতে পারে ৮০। বিভিন্ন কারণে আমাদের হার্ট রেট বেড়ে যেতে পারে। স্থূলতা, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া, অতিরিক্ত টেনশন, বেশি কফি পান করা ইত্যাদি কারণে আমাদের হার্ট রেট বেড়ে যায়।

 হার্ট রেট সবারই বাড়তে পারে এবং তা যদি কিছুক্ষণের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে চিন্তার কিছু নেই। তবে হার্ট রেট যদি ১০০ এর বেশি হয় এবং তা কন্টিনিউ করে তাহলে ডাক্তার দেখানো উচিৎ। সবসময় ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। আজকের আর্টিকেলে আমরা হার্ট রেট নরমাল রাখার সাধারণ কিছু টিপ্স আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-

প্রাত্যহিক ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। ব্যায়াম করলে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার হার্ট রেট কিছুটা বেড়ে যাবে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

হেলদি লাইফস্টাইল : ফাস্টফুড যত ধরণের খাবার আছে তা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। একেবারেই না পারলে একদম সীমিত আকারে খেতে হবে এবং সেই পরিমাণ ক্যালরি খরচ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিশ্রম করতে হবে। হার্ট রেট নরমাল থাকবে আপনার।

নো স্মোকিং : ধুমপান সাধারণত ফুসফুসের ক্ষতি করলেও তাৎক্ষণিক ভাবে হার্টবিটে প্রভাব ফেলেনা। তবে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব খুবই মারাত্মক। তাছাড়া আপনি যদি এম্নিতেই হৃদরোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে আপনার জন্য যেকোনো মূল্যে ধুমপান ত্যাগ করা অবশ্য কর্তব্য।

টেনশন মুক্ত থাকুন : কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আপনার হার্ট রেটে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সবসময় পজিটিভলি চিন্তা করুন, বিনিময়ে স্ট্রেস মুক্ত থাকুন।

পেসমেকার : এটা একধরণের ডিভাইস যা আপনার অনিয়ন্ত্রিত হার্ট রেটকে স্বাভাবিক করবে। ৫০ বছরের উপরের হার্টের রোগী, যাদের হার্ট রেট অনেক কম এবং তা প্রাত্যহিক চলাফেরায় নিদারুণ প্রভাব ফেলে তাদের জন্য পেসমেকার খুব ভালো বন্ধু হতে পারে। লিথিয়াম ব্যাটারির সাহায্যে চালিত এই যন্ত্রটি শিরার মাধ্যমে হার্টের সাথে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

পরিশেষ এ বলতে চাই যতকিছুই করা হোক না কেনো কিংবা যত ব্যবস্থাই গ্রহণ করেন্না কেনো আপনাকে নিয়ন্ত্রিতভাবে জীবনযাপন করতে হবে। তবেই সুস্থ থাকবে আপনার হার্ট। ভালো থাকবেন আপনি।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ গুরুতর অসুস্থ।

রাজশাহীর ড্রেনে মিলছে টাকা!!!