সব পাপ মুছে ফেলে পবিত্র হয়ে যেতে কতকিছুই তো করে মানুষ। দলবেঁধে নিজ নিজ ধর্মের পবিত্র স্থানগুলোতে হাজির হয়ে স্রষ্টার কাছে পাপমুক্তির প্রার্থনা করে। অনেকে আবার সম্মিলিতভাবে স্রষ্টার দরবারে হাত তুলতে ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেয়। পবিত্র হজ এবং বিশ্ব ইজতেমা যেমন মুসলিমদের বড় দুটি মহাসম্মেলন, তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষই পূণ্য পেতে দলে দলে যোগ দেয় তীর্থযাত্রায়। চলুন জেনে নিই বিশ্বের কয়েকটি ধর্মীয় মিলনমেলার কথা।
#1
#2
ইস্তেমা বাংলাদেশের প্রতি বছর শুরুর দিকে বসে। এখানে যোগ হয় প্রায় পনেরো লক্ষাধিক মুসলিম। হজের পর এটাই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলন মেলা। বিশ্বের পঞ্চান্নটি দেশ থেকে সাতটি দেশের মুসলিমরা টঙ্গীর তুরাগের তীরে সমবেত হয়ে স্রষ্টার দরবারে হাত তোলেন শান্তি আদায়ের লক্ষ্যে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#3
কুম্ভ মেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় মিলন মেলা হলো হিন্দুদের। এই মেলায় তারা তীর্থ যাত্রায় গঙ্গায় পূর্ণ স্নান করেন। তাদের বিশ্বাস এই স্নানের ফলে সব পাপ ধুয়ে মুছে যায়। প্রতি বারো বছর পর পর ভারতের হরিদ্দার ও নাসিকে পূর্ণ কুম্ভ আয়োজিত হয়।
হিসাব করলে দেখা যায় প্রতি তিন বছর অন্তর এই জায়গাগুলোর কোথাও না কোথাও কুম্ভ মেলা বসছে। তা সেই পূর্ণই মেলাই হোক বা অর্ধ মেলা। কথিত আছে, দেবতারা সমুদ্র মন্থন করে অমৃতের হাড়ি নিয়ে পালানোর সময় সেখান থেকে কয়েক ফোটা অমৃত চার জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই জায়গাগুলোতে। মেলায় প্রায় বারো কোটি মানুষ অংশ নেয়। এত বিপুল পরিমান মানুষ অংশ নেওয়ার পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#4
সান্তিয়াগো ডি কম্পোসটেলা। এখানে যীশু খ্রীষ্টের বাণী প্রচারের জন্য মনোনীত বারো জনের একজন সেইন্ট জেমস দি গ্রেট এর সমাধিক্ষেত্র কে ঘিরে এই মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই তীর্থ এর নিয়ম হলো পুণ্যার্থীদের ঘুরে ঘুরে প্রায় বিয়াল্লিশ হাজার কিলোমিটারের মত পথ পাড়ি দিতে হয়। প্রতি বছর ডিসেম্বরে মেক্সিকো সিটি তে বসে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের এই ছয় থেকে আট মিলিয়ন মানুষ এই তীর্থ যাত্রায় অংশ নেয়। তিন দিনের এই যাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্যারেড, এমনকি নাচ গানের ও আয়োজন থাকে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#5
día de la virgen de guadalupe মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত খ্রিস্টানদের এক মিলননেলা। প্রতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এই তীর্থযাত্রার বিশেষত্ব হল এখানে সবাই সাদা পোশাক পরে থাকে। পুরো দ্বীপ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সবাই একের পর এক মন্দির পরিদর্শন করেন। তাদের হাতে থাকে ছোট একটা বই, সেই সব নির্দেশনা অনুসরণ করে তারা তওবা করেন। আমাদের দেশে যেমন বিশ্ব এজতেমায় তুরাগের তীরে মুসলিমরা জড়ো হয়, মেক্সিকোতেও ঠিক এমনটাই ঘটে। সম্মেলনের এলাকায় কোন হোটেল বা ভালো জায়গা নেই। খোলা আকাশের নিচে তাবু খাটিয়ে যারা থাকে, তাদের জন্য অবশ্য স্বেচ্ছাসেবীর ব্যবস্থা থাকে, যারা সবসময় আগতদের সেবায় নিয়োজিত থাকে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings