ফেসবুক সিএনএন বিজনেসকে জানিয়েছে, যেহেতু তথ্যগুলো পাবলিক প্রোফাইল থেকে নেওয়া, তাই তারা নিশ্চিত নয় যে ঠিক কোন গ্রাহকদের এ ব্যাপারে জানানো দরকার। এ কারণে তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো নোটিফিকেশন পাঠাবে না।
এর পরিবর্তে তারা একটি হেল্প সেন্টার পেইজ খুলেছে, যেখান থেকে তথ্য ফাঁস হওয়া গ্রাহকরা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। সেখানে এটা পরিষ্কার করা হয়েছে যে, গ্রাহকরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে যেসব তথ্য শেয়ার করেছেন, তা হ্যাক হয়নি। শুধুমাত্র ‘পাবলিক’ সেটিং দেওয়া তথ্যগুলোই হ্যাক হয়েছে এবং তা ২০১৯ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য।
এই পেইজে গ্রাহকদের প্রোফাইলের তথ্যগুলোকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে।
তবে ফেসবুকের বাইরে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা তাদের ইমেইল ও ফোন নম্বর (আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে, যেমন +৮৮০১) দিয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন যে তাদের তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না।
এছাড়াও ফেসবুক জানিয়েছে, তারা ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যারা এর জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনার কাজও করছে ফেসবুক।
হেল্প পেইজে ফেসবুক জানিয়েছে, ‘যদিও আমরা সব সময় চুরি হওয়া ডেটা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারি না, তবুও এ কাজের জন্য আমাদের একটি আলাদা বিভাগ রয়েছে।’
ফেসবুকের এই তথ্য ফাঁসের ঘটনার রেশ শেষ না হতেই ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরি সংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কডইন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছে যে, তাদের ৫০ কোটি গ্রাহকের প্রোফাইলের তথ্য চুরি হয়েছে এবং হ্যাকাররা এই তথ্য একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করছেন।
GIPHY App Key not set. Please check settings