ভয়ানক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত লোপিনাভির/রিটোনাভির পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ফের আপত্তি জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে একবার ‘না’, পরে ‘হ্যাঁ’ বলার পর তৃতীয় দফায় সিদ্ধান্ত বদলে আবার ‘না’ বললো জাতিসংঘের সংস্থাটি।
করোনাভাইরাস চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনসহ ওষুধ তিনটির কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে গঠিত আন্তর্জাতিক স্টিয়ারিং কমিটির পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির/রিটোনাভিরের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু এসব ওষুধ মৃত্যু কমাতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই এই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা বন্ধ করা হলো।
গোটা বিশ্ব অনেকটা বিপর্যস্ত করে দেয়া কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের চিকিৎসকরা নানা ধরনের ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হতে থাকে রোগীদের ওপর।
কিন্তু গত ২৫ মে ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সপ্তাহ গড়াতেই ৪ জুন ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে বাধা নেই। গবেষক দল যাচাই করে দেখেছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনে রোগীদের ঝুঁকিতে পড়ার কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু মাস পেরোতেই আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আবার ‘না’ বলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings