in

সিরিয়ার বাশার তো পালালেন, এখন শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে?

এখানে ‘ঐতিহাসিক’ শব্দটি ব্যবহার করা যথার্থ হবে। কারণ, বাশার আল-আসাদের শাসনের পতন ঘটেছে। ৫০ বছরের বেশি সময়ের নির্মম স্বৈরশাসন এবং ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ ও সীমাহীন কষ্টের পর যা ঘটেছে, তা যুগান্তকারী ঘটনা।

সিরিয়ার জনগণ, অন্তত তাদের বেশির ভাগই আজ উল্লাসে মেতে উঠেছে। তারা এই মুহূর্তটি উপভোগ করুক। এই উল্লাস তাদের প্রাপ্য। এই উদ্‌যাপন ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ও লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পরের আনন্দোৎসবের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু এই স্মৃতিগুলো আমাদের জন্য সতর্কবার্তা এবং হুমকি।

সতর্কবার্তাটি হলো, যদি আসাদের স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোর আকস্মিক পতন নিয়ন্ত্রণহীন বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়, তাহলে জনতার এই আনন্দ অতি শিগগিরই কান্নায় পরিণত হতে পারে। আর হুমকিটা হলো, সিরিয়ায় এখন যে রাজনৈতিক ও সামরিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা এমন সব স্বার্থান্বেষী শক্তির দখলে চলে যেতে পারে, যারা ন্যায়বিচার ও মিলমিশের চেয়ে ক্ষমতা ও প্রতিশোধে বেশি আগ্রহী।

সিরিয়ায় প্রতিশোধ হলো এমন একটি ‘খাবার’, যা গরম-গরম পরিবেশন করা হয় এবং এটি এখন আবার ‘মেনুতে’ ফিরে এসেছে।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক পদে সারজিস

সিজদার যত উপকারিতা!