চলচ্চিত্র সমালোচকরা সিনেমার ভাষা খুব ভালো করে জানেন। কোনও চলচ্চিত্র রেটিংয়ের সময় তারা সেটারমধ্যে শুধু বিনোদন নয়, বরং এর চেয়েও বেশি কিছু খোঁজেন।সমালোচকরা চলচ্চিত্রের ধারণাগুলো দেখেন, সেটা কীভাবেঅনুপ্রাণিত করবে তা বোঝার চেষ্টা করেন। তারা একটি ছবির শৈল্পিকতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং দার্শনিক অবস্থান যাচাই করেন। একই সঙ্গেদৃশ্যধারণ, আলো এবং সম্পাদনার মতো কাজগুলো বুঝতে বিচারবিশ্লেষণ করেন। সমালোচকরা ব্যাপকভাবে এই বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারেন বলেই তাদেরকাছ থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা অর্জন করা ছবিগুলো পপকর্ন হাতে উপভোগ করার জন্যমূলধারার ফ্লিক বা ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলোকেও ছাড়িয়ে যায়।
২০১৯সালে এমন কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েছে যেগুলো বক্স অফিস হিট হয়েছে। একই সঙ্গেসমালোচকদের থেকেও বেশি স্কোর অর্জন করেছে। মেগাহিট ‘টয় স্টোরি-৪বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে শীর্ষে আছে এবং সমালোচকদের কাছ থেকেও বিপুলপ্রশংসা পেয়েছে।
ব্র্যান্ডপিট এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওসহ বাঘা বাঘা সব তারকাদের নিয়ে বানানো ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন হলিউড’ও সমালোচকদেরপ্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। একই সঙ্গে বক্স অফিসও মাতিয়েছে।
২০১৯সালে টপ র্যাংকিংয়ে যে ছবিগুলো আছে তার মধ্যে বেশরভাগই স্বল্পপরিচিত আর্টফিল্ম, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত যা বিভিন্ন উত্সবেপ্রিমিয়ার হয়েছিল। এগুলো এমন ধরণের চলচ্চিত্র যেগুলো সৃজনশীল তীব্রতার সঙ্গেসিনেমাটিক ধারাও অন্বেষণ করে, কিন্তু বক্স অফিসে খুব একটাসাড়া ফেলে না।
সমালোচকদেরমতে,২০১৯ সালে যে চলচ্চিত্রগুলো সেরা হয়েছে সেগুলোর থিম নেওয়া হয়েছেমানুষের একাকীত্ব, বিচ্ছিন্নতা, শরণার্থীঅভিজ্ঞতা কিংবা কৌতুকপূর্ণ রোম্যান্সের মতো বিষয়গুলো থেকে। এই থিমগুলো মানুষেরসমকালীন রূপে মানুষের অবস্থার সাথে সম্পর্কিত। এ জাতীয় চলচ্চিত্রগুলো প্রতিবন্ধীবা অবহেলিত মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের গল্পগুলোও তুলে ধরে। তবে এইচলচ্চিত্রগুলোতে গ্যাংস্টার ফিল্ম বা হরর জেনারের মতো জনপ্রিয় ধারা এবং শৈলীরওমিশ্রণ দেখা গেছে। ২০১৯ সালে কিছু ডকুমেন্টারিও সমালোচকদের কাছ থেকে ভালো নম্বরপেয়েছে, যেগুলো অভিনব সিনেমাটিক শৈলীর সাথেসাংস্কৃতিকভাবেও প্রাসঙ্গিক।
বিশ্বখ্যাতমুভি রিভিউকারী ওয়েবসাইট মেটাক্রিটিক এ সমালোচকদের মতে ২০১৯ এর সেরা কিছু চলচ্চিত্রের তালিকা একবার দেখে নেওয়া যাক।
#1 প্যারাসাইট
#2 দি আইরিশম্যান
মেটাস্কোর:৯৪
এইছবিটি পরিচালনা করেছেন মার্টিন স্কোরসেস। ১৯৫০ সালের প্রেক্ষাপটে আমেরিকার গ্যাংকালচারের গল্প নিয়ে নির্মান করা হয়েছে দি আইরিশম্যান। অভিনয় করেছেন রবার্ট ডিনিরোর মতো শক্তিমান তারকা। আর আল পাচিনো একই সঙ্গে এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন এবংপ্রযোজনা করেছেন।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#3 ম্যারেইজ স্টোরি
মেটাস্কোর: ৯৪
নোয়া বাউমবাক পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন স্কারলেট জোহানসনের মতো হেভিওয়েট তারকা। একজন সিনেমা পরিচালক ও তার স্ত্রীর কাজ, ব্যস্ততা এবং মনোমালিন্যের পরিণতি ডিভোর্স নিয়েই ছবির কাহিনী। ৬টি গোল্ডেন গ্লোব এ্যওয়ার্ড জিতে নিয়েছে এই ছবিটি।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#4 পোর্ট্রেট অব এলেডি অন ফায়ার
#5 দ্য স্যুভেনির
#6 আনকাট জেমস
#7 দ্য ফেয়ারওয়েল
#8 লং ডে’স জার্নি ইনটু নাইট
#9 ফর সামা
#10 পেইন অ্যান্ডগ্লোরি
মেটাস্কোর:৮৮
দুটি অস্কারজয়ী স্প্যানিশ পরিচালক পেদ্রো আলমোদোবার পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেই ৭২তমকান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অ্যান্টনিও বান্দেরাস। ছবিটিজীবনের গতির ছবি, জীবনের নানান রঙ্গের ছবি। এই ছবি সেই শক্তিকেঅন্বেষণ করে, যার ফলে শরীরে প্রাণ থাকা পর্যন্ত মানুষস্বপ্ন দেখে, আশায় বাঁধে বুক।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#11 অ্যাপোলো ১১
#12 ইন ফ্যাব্রিক
#13 গিনেজ
#14 ডায়ান
#15 রোলিং থান্ডাররিভ্যু: অ্যা বব ডিলান স্টোরি
#16 হানিল্যান্ড
#17 দ্য ওয়াইল্ড পিয়ার ট্রি
#18 আমেরিকান ফ্যাক্টরি
মেটাস্কোর: ৮৬
জুলিয়া রিচার্ট এবং স্টিভেন বোগনার যৌথভাবে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ছবির দৈর্ঘ্য ১১৫ মিনিট। ছবিতে এমন একটি কারখানার গল্প বলা হয়েছে, যেটার মালিক একজন চীনা বিলিওনিয়ার। কারখানার ১০০০ কর্মীর সবাই আমেরিকান। কিন্তু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ২০০ জন হলেন চীনা নাগরিক।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#19 অ্যান এলিফ্যান্ট সিটিং স্টিল
#20 ব্ল্যাক মাদার
#21 অ্যাশ ইজ পিউরেস্ট হোয়াইট
#22 বার্ডস অব প্যাসেজ
#23 নাইভস আউট
মেটাস্কোর: ৮৫
লেখক আগাথা ক্রিস্টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মৃত্যুরহস্য নিয়ে 'নাইভস আউট' নামে আমেরিকান এই রহস্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সিনেমার লেখক, প্রযোজক ও পরিচালক রিয়ান জনস। ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি ইতোমধ্যে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। ২০০৫ সালে 'ব্রিক' সিনেমাটি নির্মাণের পরই রিয়ান জনস 'নাইভস আউট'-এর ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#24 ওয়ান চাইল্ড ন্যাশন
#25 আটলানটিকস
#26 দ্য কেভ
#27 ওয়ান কাট অব দ্য ডেড
#28 দ্য গ্রাউন্ড বেনিথ মাই ফিট
#29 টয় স্টোরি ৪
#30 বুকসমার্ট
#31 সিনোনিমস
#32 ভার্দা বাই অ্যাগনেস
#33 ইন মাই রুম
#34 এন্ড অব দ্য সেনচুরি
#35 ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড
মেটাস্কোর: ৮৩
কিংবদন্তি পরিচালক কোয়েন্টিন টারান্টিনোর ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন...হলিউড’ শুধু হলিউডেই নয়, বরং চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ও বড় আয়োজনের ছবিগুলোর একটি। মূল অভিনয়শিল্পীরা হলেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, ব্রাট পিট ও মারগট রোবি। ছবিতে লিওনার্দোর চরিত্রের নাম রিক ডাল্টন—১৯৬৯ সালে হলিউডের এক ওয়েস্টার্ন টিভি সিরিজে অভিনয় করা একজন অভিনেতা। টিভি সিরিজে অভিনয়ের পর তখনকার হলিউডের মূলধারায় ঢোকার জন্য সংগ্রাম করছেন রিক। রিকের সঙ্গে বহুদিন ধরে কাজ করছেন স্টান্ট ডাবল ক্লিফ বুথ। এই ক্লিফের চরিত্রে অভিনয় করছেন ব্র্যাড পিট। অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী মারগট রোবিকে এখানে রয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী ও মডেল শ্যারন টেইটের চরিত্রে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#36 দ্য লাইট হাউজ
#37 দ্য লাস্ট ব্ল্যাক মান ইন সান ফ্রান্সিসকো
#38 রোল রেড রোল
#39 ট্রানজিট
#40 মেইডেন
#41 কারমাইন স্ট্রিট গিটার
#42 গিভ মে লিবার্টি
#43 অ্যানজেলস আর মেড অব লাইট
#44 দ্য টু পোপস
#45 রেসেল
#46 রিলাক্সার
#47 আস
#48 ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি
#49 ওয়েভস
মেটাস্কোর: ৮১
১৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন ট্রে এডওয়ার্ডস সাল্টস। মাত্র ৩০ বছর বয়সী পরিচালক এডওয়ার্ডসের তৃতীয় ছবি এটি। কিন্তু পুরো ছবিজুড়ে তিনি এতটাই মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তিনি যে তার বয়স মাত্র ৩০ সেটা ভাবলে অবাকই হতে হবে। ওয়েভস মূলত একটি ফ্যামিলি ড্রামা। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক এবং আবেগের গল্প এখানে উঠে এসেছে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#50 শ্যাডো
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings