সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। ব্যক্তিজীবনে একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় সাফল্যের চূড়ায় অবস্থান করলেও শেষ ইচ্ছা পূরণের আগেই চলে গেলেন তিনি।
১১ বার হজে গিয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। মক্কা ও মদিনার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তাই আরও একবার হজে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মেয়ের বাসায় বসে সাংবাদিকদের এমন ইচ্ছার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। কিন্তু সেটা অপূর্ণই থেকে গেল।
গেলো বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা। চিকিৎসকেরা প্রথম দিকে ধারণা করেছিলেন, এটিএম শামসুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত। পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। ফলাফলে জানা যায় করোনা নেগেটিভ।
হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তার শারীরিক সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সব পরীক্ষায় ভালো ফল এলেও রক্তে কিছুটা সমস্যা পেয়েছিলো চিকিৎসকেরা। তবে অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিcjলে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে ফেরেন এই অভিনেতা। সেখানেই আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এটিএম শামসুজ্জামান। সেদিনও তার খুব শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। ওই রাতে তাকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এটিএম শামসুজ্জামানের অন্ত্রে প্যাঁচ লেগেছিল। সেখান থেকে আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা। এর ফলে খাবার, তরল, পাকস্থলীর অ্যাসিড বা গ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং অন্ত্রের ওপর চাপ বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings