বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী হরিনিয়া আমারাসুরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার এই বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের দেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অর্থ উদ্ধারে প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে শ্রীলংকার সংসদ সম্প্রতি একটি নতুন আইন পাস করেছে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ফেরত আনার প্রচেষ্টায় শ্রীলঙ্কার সমর্থন কামনা করেন।
বৈঠকে দুই নেতা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা এবং আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
অর্থ পাচার এবং পুনরুদ্ধারের বিষয়টি শুধু বাংলাদেশ বা শ্রীলংকার একক সমস্যা নয়, বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশের জন্যই একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিমসটেক-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মগুলো এসব বিষয়ে যৌথ সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
শ্রীলংকা ২০১৯ সালের পর থেকে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সম্প্রতি তাদের ‘অ্যাসেট রিকভারি’ আইন পাশ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দুর্নীতির টাকাগুলো দ্রুত শনাক্ত ও পুনরুদ্ধার সহজ হবে। এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকেও সহায়তা করতে পারে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
Comments
Loading…