in ,

লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে যেসব সেবা-প্রতিষ্ঠান

সারাদেশে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, কাঁচা বাজার ওষুধ ও খাবারের দোকানের পাশাপাশি পোশাক এবং অন্যান্য শিল্প কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

শনিবার (৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি লকডাউনে যেন মানুষের চলাচল যতটাসম্ভব বন্ধ করা যায়। কারণ যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে মানুষের ঘরে থাকা জরুরি। তবে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, কাঁচা বাজার খাবার ও ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। 

প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়াও পোশাক ও শিল্প কারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষের চলাচল যাতে একেবারে সীমিত করে ফেলা যায় আমরা সেই পদক্ষেপ নেব। কেউ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবে না। অনেক লোক বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আটকে থাকতে পারে, তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে একদিন পর লকডাউন দেয়া হচ্ছে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিসের অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র অফিস- এই ধরনের অফিস খোলা থাকবে। শিল্প ও কলকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শ্রমিকরা কাজ করেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব সেখানে তা স্পষ্ট করে বলা হবে। এখনই এ বিষয়ে বলছি না।’

এর আগে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়ার কথা জানান।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম কারো মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২৩ মার্চ প্রথমবারের মত ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দেয় সরকার।

শুরুতে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৮৩০ জনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে আরও ৫০ জনের।

Report

What do you think?

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

বাবা হারালেন সোনিয়া

লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া