রান্নাঘরে সাবধানতার ক্ষেত্রে সাধারণত আগুন বা গ্যাসের থেকে নিরাপদ থাকার কথা বলা হয়। তবে এমন কিছু জিনিস আছে বা অভ্যাস আছে যার কারণে আপনার স্বাস্থ্য খারাপ অথবা যেকোন প্রকারের ঝুঁকিতে পরে যেতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে একটু সচেতন হলে সহজেই এড়াতে পারবেন এসব সমস্যা।
খাবার বেশি হলে আমরা ফ্রিজে রাখি। কিন্তু কখনই তা তিন দিনের বেশি রাখবেন না। তিন দিনের পুরনো খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
যে স্পঞ্জ দিয়ে বাসন ধোওয়া হয় তা এক সপ্তাহ পর পর পরিবর্তন করে ফেলুন। পানি আর সাবান লেগে থাকায় ওর মধ্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যা আপনার স্বাস্থের পক্ষে মোটেও ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
পানির বোতল কখনই খোলা বা আলগা অবস্থায় রান্নাঘরে রেখে দেবেন না। এতে অনেক সময় অসাবধানতার বশত ধাক্কা লেগে পরে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া মশলা খোলা অবস্থায় বেশিদিন বাইরে ফেলে রাখবেন না। এতে মশলার গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়।
খোলা খাবার বা পানীয়- কোনও রকম খোলা খাবার, পানীয় রান্নাঘরে রাখবেন না। এতে তেলাপোকা, ইদুর বা অন্য যেকোন ক্ষতিকারক পোকামাকড় মুখ দিতে পারে। অথবা সেখানে পরে মরে থাকতে পারে টিকটিকি বা পিপঁড়া। যা কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাই সচেতন হন এসব ব্যাপারে।
বেকিং পাউডার, খাবার সোডা বড়জোর পাঁচ মাসের ভিতরে ব্যবহার করে ফেলুন। বোতলের গায়ে লেখা থাকে একবছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন লেখা থাকলেও এসব ক্ষেত্রে তারিখের দিকে না তাকিয়ে বরং মানের দিকে চিন্তা করা ভালো।
জ্যাম, সসের বোতল সবসময় ভালো করে মুখ বন্ধ করে রাখুন। সকালে রুটিতে জেলি মাখিয়ে ফ্রিজে রেখেছেন, হয়তো ভালো করে মুখ বন্ধ করেননি। এমন হলে অনেকসময় শরীরে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই একটু বেশি সচেতন হয়ে এসব সমস্যা এড়িয়ে চলুন।
GIPHY App Key not set. Please check settings