in

রসুলের (সা.) নির্দেশিত পথে আল্লাহকে চিনতে হবে

ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু নিয়ে এসেছেন

ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু নিয়ে এসেছেন, সব কিছুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাকে ইমান বলে। সোজা কথায়, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিমুখী হওয়া ইমানের পূর্বশর্ত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত বিধান ইসলাম। আর ইসলামের মূল ভিত্তি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রসুল। আল্লাহকে চিনতে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চিনতে হবে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতে হবে। তাঁর প্রতি ভালোবাসা মুমিন হওয়ার পূর্বশর্ত।

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও অন্যসব লোকের তুলনায় অধিক প্রিয় হব। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তার কামনা-বাসনা আমার আনীত বিধানের অনুবর্তী হবে। (শারহুস সুন্নাহ, মিশকাত)।মুহাদ্দিসরা ইমানের পূর্বশর্ত হিসেবে শর্তারোপের সূক্ষ্ম কারণ উদ্ঘাটন করে বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সেতুবন্ধ। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের ওপরই নির্ভরশীল। একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের পরিপূর্ণ আনুগত্য তখনই করে, যখন সে ওই ব্যক্তির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধ, প্রাণঢালা ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা পোষণ করে। তার মধ্যে এগুলো বিদ্যমান না থাকলে স্বভাবতই সে আনুগত্যবিমুখ হয়ে পড়ে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই উক্ত হাদিসে ইমানের জন্য রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসাকে পূর্বশর্ত করা হয়েছে। সাধারণ ইমান মৌখিক স্বীকারোক্তির দ্বারাই অর্জিত হয়।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা, আনুগত্য ও অনুসরণ করা ইমানের পূর্ণতার বহিঃপ্রকাশ। অতএব এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়, এখানে ইমান বলতে পরিপূর্ণ ইমানের কথাই উদ্দেশ করা হয়েছে। আল্লাহ ও বান্দার মাঝে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু সেতুবন্ধ, সেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবনের সব ক্ষেত্রে তাঁর (রসুলুল্লাহর) আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। একে ইমানি দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

রঙের দুনিয়া

স্ত্রীর উপার্জিত অর্থে স্বামীর কোনো অধিকার নেই