একটি অদ্ভুত ব্যাপার কি আমরা লক্ষ করেছি কি? আর তা হলো বয়স্কদের চেয়ে শিশুরা তুলনামূলক কম আক্রান্ত হচ্ছে করোনাভাইরাসে। সম্প্রতি এক মার্কিন এক গবেষণা শিশুদের কম আক্রান্ত হওয়ার কারণ উদ্ঘাটন করেছে। গবেষকদের দাবি, করোনাভাইরাস যে হরমোনের মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায়, সেই হরমোনের শিশুদের দেহে সেটির উপস্থিতি কম।
নাসারন্ধ্র ও শ্বাসনালীতে উপস্থিত অ্যাঙ্গিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম-২ (এসিই২) নামের হরমোনের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায়। ভাইরাসটি দেহে প্রবেশের পর সর্বপ্রথম এই হরমোনের সঙ্গে এটে যায়। তারপরেই শুরু করে সংক্রমণ। সহজ ভাবে যদি বলা যায় তা হলো মানবদেহে এই হরমোনের উপস্থিতি পাওয়া না যেত তবে করোনাভাইরাসও কোনো সংক্রমণ ঘটাতে পারতো না।
এই গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত মাউন্ট হাসপাতালের গবেষকরা। এতে নেতৃত্ব দেওয়া গবেষক ডক্টর সুপিন্দা বুনাইয়াভানিচ বলেন, আমরা ৪ বছর থেকে ৬০ বছরের ৩০৫ জন করোনা রোগী নিয়ে গবেষণা করেছি। এসব রোগীদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ ছিল শিশু।
ডক্টর সুপিন্দা বুনাইয়াভানিচ আরো বলেন, এসিই২ হরমোন মূলত দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। শিশুদের মধ্যে এই হরমোনের উপস্থিতি কম। করোনাভাইরাসে শিশুরা কম আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। এসিই২ হরমোনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে, একজন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে কি হবে না। কারণ শিশুদের মধ্যে এই হরমোনের উপস্থিতি কম। বাস্তবেও তাই, সারাবিশ্বে করোনাক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা খুবই কম। শিশুদের সাথে সাথে যদি এই হরমোন উপস্থিতি বড়দের মাজেও যদি কম পাওয়া যেত তাহলে কত ই না ভ্ল হত। তবে আশার কথা খুব শিগ্রি এই ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আসছে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings