ওয়েবসাইট এর গুণগত মান বলতে আসলে আমরা কী বুঝি? ভিজিটর এবং ওয়েবসাইট স্বত্বাধিকারী দুজনের কাছে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ দুইরকম। ভিজিটর যখন আপনার ওয়েবসাইটে আসবে তখন তার একমাত্র চাওয়া থাকে কন্টেন্টস এবং ইমেজ ফাস্ট লোড হবে। সোজা কথা, তারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজটের সময় কন্টেন্টস গুলো বাধাহীনভাবে পড়তে চায়। তাই ওয়েবসাইট বানানোর পরে এর প্রাত্যহিক রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইসু। আপনার সাইট বড় বা ছোট হোক, ইঞ্জিনের কার্যকারিতা অটুট রাখতে একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এর যেমন প্রাত্যহিক কাজ করতে হয়, ঠিক তেমনি আপনার ওয়েবসাইট এর উচুপারফরম্যান্স এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে। ব্যান্ডুইথ, থার্ড পার্টি এটেম্পটস, বাগ চিহ্নিত করা, সঠিক কোড ব্যবহার করা, ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ইমেজ বা যেকোনো ধরণের ফাইল ইত্যাদি ফ্যাক্টসগুলোই ওয়েবসাইট মেইন্টেনেন্স এর সাথে উঠে আসে। আজকের আর্টিকেল টা মূলত তাদের জন্য যারা তাদের ওয়েবসাইট নিয়ে প্রায়ই সমস্যায় ভোগে থাকেন। তাছাড়া আপনি ওয়েবসাইট বানানোর জন্য যদি মনস্থির করে থাকেন, তাহলে আপনাকেও স্বাগতম। আসুন বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল কথা শুরু করা যাক।
#1 ওয়েবসাইটের ক্র্যাশ করে কেনো?
ওয়েবসাইট ক্র্যাশ বা কোয়ালিটি ডাউন হয়ে যাওয়ার পেছেন অসংখ্য কারণ আছে। তবে আমরা সাধারণত যে সমস্যাগুলো একটি রানিং কিংবা নতুন ওয়েবসাইট এর এর ক্ষেত্রে দেখে থাকি তা হলো- হোস্টিং এর ডোমেইন সঠিক সময়ে আপডেট না করা, ওয়েব কন্টেন্টে অতিরিক্ত ব্যাকলিংক ব্যবহার করা, নিম্নমানেরব্যান্ডুইথ, কোডিংল্যাঙ্গুয়েজে ভুল থাকা, ওয়ার্ডপ্রেসের এর ক্ষেত্রে HTML ফ্রেমওয়ার্কে সমস্যা, DNS(Domain Name System) এর সাথে সার্ভারের ধীরগতিরকানেকশন, আনঅপ্টিমাইজড ইমেজ(অরিজিনাল হাই রেজুলেশনের ইমেজ সরাসরি ব্যবহার করা), বাজে ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করা, অতিরিক্ত ইমেজ এবং ভিডিও ব্যবহার করা ইত্যাদি সমস্যা গুলোই ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ এর সময় দেখে থাকি। দেখে নেওয়া যাক এসব সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ভাবে কী কী করতে পারি।
#2 নির্ভুল কোডিং নিশ্চিত করা।
আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হোন তাহলে তো ভালো কথা। তবে আপনি যদি আরেকজনকে দিয়ে আপনার ওয়েবসাইকে বানিয়ে নেন তাহলে নির্ভুল কোডেডল্যাংগুয়েজ এর ব্যবহার সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। হটলিঙ্কিং (যা থার্ড পার্টি সাইট ব্যবহার করে থাকে) প্রতিরোধ করতে আপনাকে অবশ্যই সঠিক কোডের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#3 CDN ব্যবহার করুন ।
সহজ কথায় CDN বা Content delivery network হলো এমন একটি সিস্টেম যা ব্যবহার করলে, আপনার ভিজিটর বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করুক না কেনো, কন্টেন্ট দ্রুত লোড হবে। CDN আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্টারন্যাশনাল সার্ভার এর সাথে কানেক্ট করার মাধ্যমে এর কোয়ালিটি ঠিক রাখবে। অপ্রয়োজনীয় ট্রাফিক রোধেও এর জুড়ি নেই। আপনার পেজে যখন অতিরিক্ত এবং অটো ট্রাফিক (এটাও থার্ড পার্টি সাইটের একটি এটেম্পট) আসতে থাকবে, CDN এর আর্টিফিশিয়ালইন্টেলিজেন্স সিস্টেম রিয়েলট্রাফিকগুলোকে শনাক্ত করতে পারবে। এতে করে সত্যিকারেরভিজিটররা উচ্চ গতিতে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
#4 ডোমেইন এবং হোস্টিং নিয়মিত আপডেট করুন।
#5 ব্যাকাপ রাখুন।
আপনার ওয়েবসাইট এর সমস্ত কন্টেট, ফাইলস,লিঙ্কস, ইমেজ একটি নিরাপদ স্থানে স্টোর করে রাখুন। এখন তো অনেক ধরণেরক্লাউডস্টোরেজ আছে যারা আপনি যখনই নতুন কিছু আপ্লোড করবেন অটোমেটিক ভাবে তা ব্যাকাপ করে রাখবে। ব্যাকাপ না রাখলে এবং ওয়েবসাইট ক্র্যাশ হলে আপ্নাকে আপনার হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার এর কাছ হাত পাততে হবে। সেক্ষেত্রে প্রোভাইডার ভালো না হলে অনেক টাকাও গুনতে হতে পারে।
সঠিক এবং নিয়মিত যত্ন আপনার ওয়েবসাইকেক্র্যাশ হওয়া থেকে রক্ষা করবে। ব্যাকাপ রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। আপনার ওয়েবসাইট এর যদি নিয়মিত অনেক ভিজিটর থাকে, ওয়েবসাইট জনিত যেকোনো সমস্যায় তাদেরকে নোটিফাই করতে পারেন যদিও এটা একটা ব্যায়বহুল কাজ। মোট কথা আপনাকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজটা চালিয়ে যেতে হবে।
Leave a Reply
GIPHY App Key not set. Please check settings
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings