মিয়ানমারে অভ্যুত্থান পরবর্তী বিক্ষোভে মৃত্যু ছাড়িয়েছে সাড়ে পাঁচশ’। এরপরও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বেড়েই চলেছে। এবার দেশটির সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছাড়াও সাধারণ মানুষকে বাস থেকে নামিয়ে অত্যাচার শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে গত কয়েকদিনে ইয়াঙ্গুনের ওক্কালাপা সহ বেশ কয়েকটি শহরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। খবর ইরাবতী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনী বাস থামিয়ে বলপূর্বক যাত্রীদের টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে লাঠি দিয়ে অমানবিকভাবে আঘাত করেছে এবং প্রবলভাবে লাথির পর লাথি মেরেছে। উত্তর ওক্কালাপা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থুধামায় চলতে থাকা ইয়াঙ্গুন বাস সার্ভিসের গাড়িগুলোকে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তার পাশে থামানো হয়। এরপর সেনা সদস্যরা বাসের ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের ধরে ধরে জোরপূর্বক টেনে নিচে নামায়।
তারা আরও জানিয়েছেন, যাত্রীদেরকে ‘নিলডাউন’ করতে বলা হয়, এর পরই শুরু হয় অত্যাচার। শুধু যাত্রীদের পিটিয়েই ওরা ক্ষান্ত হচ্ছে না, বাসের চালকসহ অন্য কর্মীদেরও তারা এই অত্যাচার নির্যাতন থেকে রেহাই দিচ্ছে না। এ ঘটনার পর থেকে খবর পেয়েই ওই বাসগুলো গন্তব্যে যেতে অন্য রাস্তা ব্যবহার করতে শুরু করে। চালকদের রুট পরিবর্তনের খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা আবাসিক এলাকাগুলোতে চিৎকার করতে করতে গুলি চালাতে থাকে।
এ সময় এলাকায় কী ঘটছে, তা দেখতে ঘর থেকে বের হয়েই বিপদে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। এদের ধরতেই সেনারা সংশ্লিষ্টদের বাড়ির ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে।
নির্যাতনের শিকার হওয়া বাসে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সেনারা প্রথমে বাসচালককে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এরপর পুরুষ যাত্রীদের লাথি দিতে থাকে আর বলে-যুদ্ধ কর আমার সঙ্গে। মহিলা যাত্রীদের চুল ধরে টানাটানি করে এবং গালে থাপ্পড় মারতে থাকে।’
GIPHY App Key not set. Please check settings