in

মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ২০২০ শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষবারের মতো বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। এতে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন। ডিবেটের পর চূড়ান্ত হিসেব-নিকেষে বসছেন মার্কিন ভোটাররা। ডিবেটে কভিড ১৯ ইস্যুতে আক্রমন পাল্টা আক্রমন প্রাধান্য পায়।

এয়াড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ, নর্থ কোরিয়ার সাথে যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্ক, ইগিগ্রেসন, সাস্থ্য সুবিধা নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা ভোটারদের সামনে তুলে ধরেন দুই প্রার্থী। ডিবেটে জনমত জরিপে বিজয়ী হন ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেন।

বাইডেনের বক্তব্যে মূল কথাই ছিল, বিভক্তি নয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে জাতীয় সংহতি পুনরুদ্ধারে কাজ করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় টেনিসি অঙ্গরাজ্যেও নাশভিলের বেলমন্ট ইউনিভার্সিটিতে এ চূড়ান্ত বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কেও সঞ্চালক ছিলেন এনবিসি নিউজের সাংবাদিক ক্রিস্টেন ওয়েকার। বিতর্ক দেখা লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে এ বিতর্কে ৫৩ শতাংশ লোক মনে করেন জো বাইডেন বিজয়ী হয়েছেন। আর ৩৯ শতাংশ লোক মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিতর্কে জয়ী হয়েছেন।

করোনায় জীবনধারণকরোনার মধ্যে জীবন ধারণ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন আমরা শিখছি কিভাবে করোনার মধ্যে বসবাস করতে হয়। জবাবে জো বাইডেন বলেন, জনগন শিখছে কিভাবে করোণায় মৃত্যুবরণ করতে হয়। জো বাইডেন আরো বলেন, দুই লক্ষ মানুষের মৃত্যুর দায়িত্ব যিনি নিতে পারেন না তাঁর দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার কোনো অধিকার নেই। এসময় তিনি মহামারী মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনা মোকাবেলায় তেমন কোনো পরিকল্পনা ভোটারদেও সামনে উপস্থাপন করতে পারেননি। তবে তিনি লক ডাউনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপযুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি কংগ্রেসে এবং জাতীয় নিরাপত্তার আলোচনায় প্রভাব বিস্তার করে। বিষয়টি নতুন মাত্রা পায় শেষ বিতর্কে। এবাওে বিদেশি হস্তক্ষেপে নাম আসে ইরান ও চীনের । এ প্রসঙ্গে জো বাইডেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, আমি নির্বাচিত হলে তাদেরকে অবশ্যই এর মূল্য দিতে হবে। তাঁর ভাষায় চীন,রাশিয়া ও ইরান যুক্তরাস্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা করছে। জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুনির্দিষ্ট কিছু না বললেও তিনি এ ব্যাপাওে সচেতন রয়েছেন।

নর্থ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কনর্থ কোরিয়ার সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের উঞ্চ সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন দুই প্রার্থী। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, উল্টর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে এবং সেখানে কোনো যুদ্ধ নেই। জবাবে জো বাইডেন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর কিম জং উনের পীট চাপড়িয়ে কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাঁর ফল হচ্ছে উত্তর কোরিয়া যে কোনো সময়ের চেয়ে মিসাইল উৎপাদনে বেশি সক্ষম এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সহজে আঘাত হানতেও সক্ষম।

ইমিগ্রান্ট ইস্যুইমিগ্রান্ট ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কড়া সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। মেক্সিকো সীমান্তে প্রায় পাচশ শিশুকে তাদেও পিতা মাতা কোল থেকে আলাদা করা হয়েছে । এখন তারা তাদেও পিতা মাতাকে খুঁজে পাচ্ছে না । এ শিশুগুলো এখন কোথায় দাড়াবে। আমরা জাতি হিসেবে সকল রীতি নীতি ভঙ্গ করেছি। জবাবে বলেন, শিশুদেরকে তাদেও বাবা মার কাছে ফেরাতে প্রশাসন কাজ কওে যাচ্ছে। এসব শিশুদেরকে কিছু খারাপ লোক এদেশে নিয়ে এসেছে। আমি চাই বৈধ ভাবে লোকজন যুক্তরাস্ট্রে প্রবেশ করুক। এসময় জো বাইডেন প্রথম একশ দিনের মধ্যে কংগ্রেসে তাঁর ইমিগ্রেশন সংস্কার প্রস্তাব তুওে ধরবেন বলে জানান। বাল্য অবস্থায় বাবা-মার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রায় ৮০ লাখ কাগজপত্রহীনদেও বৈধতা দেবার ঘোষণাও দেন জো বাইডেন।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

এ যেন এক টাঁকার ভাণ্ডার! তবে নকল! দেখুন আসল ঘটনা!

রাসুল (সা.) কার্টুন ছাপানোয় উদ্বেগ প্রকাশ জাতিসংঘের