আমাদের মানব জাতিকে উদার ও দয়ালু হতে শিক্ষা দেয় ইসলাম। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ তায়ালা উদার ব্যক্তিদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে নিজের ধন-সম্পদ ব্যয় করে এবং নিজেদের অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না, আর কাউকে কষ্ট দেয় না; তাদের জন্য প্রতিপালকের কাছে প্রতিদান রয়েছে এবং তাদের ভয় নেই।’ সূরা বাকারা: আয়াত ২৬২।
এই জগতে যুগে যুগে অসংখ্য মানুষ উদারতার পরিচয় দিয়ে গেছেন। মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় উদার ব্যক্তি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সা:)। এমনকি শত্রুরাও তার কাছ থেকে উদারতা ছাড়া আর কিছু আশা করতেন না। যারা তার ওপর অত্যাচার করতো, তাদের প্রতিও তিনি দয়াবান ছিলেন।
আমাদের প্রিয় নবী রাসূলে পাক (সা:) এর স্মৃতিবিজড়িত শহর সেই মদিনাতে একজন উদার ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। যিনি ঐতিহাসিক কুবা মসজিদের সামনের রাস্তায় বসে ফ্রিতে মুসল্লিদের চা ও মিষ্টান্ন পরিবেশন করেন। এসময় তার আশেপাশে কে বা কারা আছেন, তাও লক্ষ্য রাখেন না।
বয়েস্ক এই মানুষটি প্রতিদিন অনেকগুলো ফ্লাক্সে চা ও প্রচুর কাপ নিয়ে কষ্ট করে বসে থাকেন। নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি কিংবা দর্শনার্থীদের চা পরিবেশন করেন। তার ব্যক্তিত্ব এতই অসাধারণ যে, প্রত্যেকটি মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায়।
বিনিময়ে কিছু না নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে লোকটি মানবতার সেবায় ব্যস্ত। তার এমন নিঃস্বার্থ উদারতা সম্পূর্ণ মানবজাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
একজন মুসলমান ও রাসূলের অনুসারী হিসেবে সবার উচিত বন্ধু থেকে শত্রু, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও অন্যান্য সব মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করা, সহায়তা করা। যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়ানো।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings