মশার প্রকোপে বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ট সবাই। তবে অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, পাশাপাশি বসে থাকলেও কাউকে মশা বেশি কামড়ায় আবার কাউকে সেভাবে কামড়ায় না। এর পেছনেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। মশা নিয়ে চালানো মার্কিন গবেষকদের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এর নেপথ্যের কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের ইউসি ডেভিস ইউনিভার্সিটির চালানো ওই গবেষণার দেখা গেছে, মানুষের শরীরে কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতি বা মানুষের গন্ধ ও নিশ্বাসের উপর নির্ভর করে মশা কামড়াতে আকৃষ্ট হয়। আসুন জেনে নিই কি কারণে মশা বেশি কামড়ায়।
১ ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন: নিশ্বাসের সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের উপর নির্ভর করে মশা কাউকে বেশি বা কাউকে কম কামড়ায়। সাধারণত গর্ভবতী নারীদের নিশ্বাসের সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সবচেয়ে বেশি নির্গত হয়। এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড মশাদের আকৃষ্ট করে। ফলে তাদের বেশি মশা কামড়ায়।
২ ) রক্তের গ্রুপ: নির্দিষ্ট কিছু রক্তের গ্রুপ মশাকে আকর্ষণ করে। সাধারণত ‘ও’ ব্লাডগ্রুপের (‘ও’ পজেটিভ এবং ‘ও’ নেগেটিভ) মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়।
৩ )ঘাম: ঘাম যাদের বেশি হয়, তারা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি মশার আক্রমণের শিকার হন। ঘামের সঙ্গে বের হওয়া ‘ল্যাকটিক অ্যাসিডের’ ঘ্রাণ মশার বেশি প্রিয়। তাই শরীর বেশি ঘামতে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনবোধে দিনে দুই তিনবার গোসল করতে হবে।
৪ )পোশাকের রং: পোশাকের রং মশা বেশি বা কম কামড়ানো একটি অন্যতম কারণ। মশার কামড় কম খেতে চাইলে মশার প্রিয় রঙের পোশাকগুলো পরিহার করুন। সাধারণত গাঢ় কোন রং যেমন লাল-নীল প্রভৃতি রঙের পোশাক না পড়াই শ্রেয়।
৫ )জিনগত কারণ: সাধারণত কিছু জিনগত কারণে মানুষের শরীরে মশার কামড়ের প্রতিরোধক গড়ে ওঠে। এজন্য মানুষ ভেদে মশার কামড়ের তারতম্য দেখা দেয়।
GIPHY App Key not set. Please check settings