ভুয়া তালিকা দেখিয়ে চাল আত্মসাতের চেষ্টা, চেয়ারম্যানসহ ৯ ইউপি সদস

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাতের পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। ভুয়া তালিকা তৈরি করে ৮০০ কেজি চাল আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুলসহ পরিষদের ৯ ইউপি সদস্যকে শোকজ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার।

জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে অষ্টমনিষা ইউনিয়নে ১ হাজার ২৭০ জন উপকারভোগীর মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগেই একটি ভুয়া তালিকা তৈরি করা হয়, যেখানে প্রকৃত উপকারভোগীদের বদলে স্থানীয় প্রশাসন, থানা পুলিশ, সাংবাদিক, এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নামে চাল বরাদ্দ দেখানো হয়।

তালিকায় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর না থাকলেও পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। প্রশাসনের সন্দেহ, এসব ভুয়া কার্ড ব্যবহার করে ৮০ জনের নামে ৮০০ কেজি চাল আত্মসাতের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুল বলেন, ‘এখনো চাল বরাদ্দ হয়নি, তালিকাও চূড়ান্ত হয়নি। তাই আত্মসাতের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’

তবে ইউএনও মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘তালিকাটি যাচাই করে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ৯ ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে হবে।’

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ‘দরিদ্রদের প্রাপ্য ঈদের চাল কেউ হাতিয়ে নিতে চাইবে, এটা কল্পনাও করা যায় না। এই দুর্নীতি মানবিকতার চরম অপমান।’

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি ত্রাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।